ওয়াশিংটন: ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণের রেশ কাটেনি এখনও। ফের কাবুল বিমানবন্দরে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটা জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এই আশঙ্কার কথা তাঁকে জানিয়েছে মার্কিন সেনা। শনিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। আগামী ৩১ অগস্ট আমেরিকার উ্দ্ধারকাজ চালানোর সময় শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা আমেরিকার।
নিরাপত্তা বাহিনীর থেকে তথ্য পেয়ে বাইডেন জানিয়েছেন, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান যারা গত বৃহস্পতিবারের কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে, তারাই ফের নিশানা করতে পারে বিমানবন্দরটিকে। বাইডেনের কথায়, বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণটাই শেষ নয়। শনিবার বাইডেন বলেন, ‘ওখানকার পরিস্থিতি এখনও খুবই ভয়ঙ্কর। জঙ্গি হামলার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের কমান্ডাররা জানিয়েছে যে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফের হামলা হতে পারে।’
কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার পরই পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়ে আমেরিকা। আর তাতে আইএসের আইএসের দুই লজিস্টিক বিশেষজ্ঞকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ওই দুই জঙ্গি আর পৃথিবীর বুকে চলাফেরা করবে না।’ এই হামলার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের খোঁজ আগামিদিনেও চালিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা হবে, আমরা ছেড়ে কথা বলব না।’
গত বৃহস্পতিবারই কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে ও কাবুলের ব্যারন হোটেলের সামনে একের পর এক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান শতাধিক মানষ। যাদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনাও ছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি অবশ্য মৃতের সংখ্যা ২০০ পার করেছে। আহত হয়েছে দেড়শো’র বেশি মানুষ। এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে। ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরে হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবেই। বিস্ফোরণের ঘটনায় ভয় না পেয়ে উদ্ধারকার্য জারি রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আর তারপরই বদলা নিয়েছে আমেরিকা। পাল্টা হামলা চালায় মার্কিন সেনা। শুক্রবারই ইসলামিক স্টেট-খোরাসান-র ওপর হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন। মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে ড্রোনের মাধ্যমে এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে যাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল, তাদের খতম করা গিয়েছে। তবে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়নি।’ এ দিকে, ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরানোর কাজ শেষ করতে হবে। বাইডেন ডেডলাইন বাড়ানোর কথা বললেও পরে জানিয়েছেন ওই সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে উদ্ধারকাজ। আরও পড়ুন: মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অস্ত্র নিয়ে কী করবে তালিবান? TV9-কে সরাসরি জানালেন তালিবান মুখপাত্র