ঢাকা: বাংলাদেশের অন্দরে পরিস্থিতি যে একেবারেই ঠিক নেই এই নিয়ে মুখ খুলছেন বহু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। জুলাই থেকে আগস্ট অবধি চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ফাঁকেই জেল ভেঙে পালিয়েছে বহু অপরাধী। যাদের এখনও ধরতে পারেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এমনকী, আদৌ ধরবে কি না সেই নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি তারা।
এর মাঝেই ১৭ বছর পর জামিন পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হত্যা মামলায় অবশেষে রেহাই পান তিনি। প্রথমে এই মামলায় তাঁর ফাঁসির সাজা শোনানো হলেও, ইউনূস আমল পড়তেই কমল সাজা। সরাসরি জামিন পেলেন এই বিএনপি নেতা তথা প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
এই মাসেরই প্রথম দিকে এই একই মামলায় মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান-সহ শীর্ষ নেতারা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেখ হাসিনার সভায় বোমা হামলা হয়। যার জেরে নিহত হয় মোট ২৪ জন। আহত হন আওয়ামী লিগের ৩০০-এর বেশি কর্মী।
এরপর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড মামলায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে ঢাকার বিচার ট্রাইবুনাল। লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু-সহ ১৯ জনকে ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। কেটেছে একের পর এক বছর। বাংলাদেশে পালাবদল। এসেছে ইউনূস। আর তারপর থেকে সরাসরি নির্দোষ হিসাবে জামিন পেতে চলেছে একের পর এক বিএনপি নেতা।
এই আবহেই আবার জামিন পায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের মাথা জসিমউদ্দিন রহমানি। ব্লগার রাজীব হায়দার খুনের মামলায় ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন কয়েকের মাথায় জেলমুক্ত হয় এই জঙ্গি নেতা। সূত্রের খবর, বেরিয়েই অসম ও চিকেন্স সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু করে দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা। শুধু তা-ই নয়, ফাঁসির সাজা মকুব হয়েছে উলফা প্রধান জঙ্গি পরেশ বড়ুয়ারও। সব মিলিয়ে পদ্মা পাড়ের অন্দরে পরিস্থিতি যে একেবারেই স্বাভাবিক তা-ই জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।