নিউ ওয়র্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত টুইটারের (Twitter) মালিক হয়েছে ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। আর তারপরই টুইটারের শীর্ষ পদাধিকারীদের তিনি সরিয়ে দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হয়। সিএনবিসি, ওয়াশিংটন পোস্টে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ছাঁটাই হওয়াদের তালিকায় সিইও পরাগ আগরওয়াল, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সায়গল এবং চিফ লিগাল অফিসার বিজয় গাড্ডে রয়েছেন বলেও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এবার পরাগদের ‘ছাঁটাই’-এর পর তাঁদের প্রাপ্য টাকা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। টুইটারের কমপেনসেশন স্কিম অনুযায়ী ছাঁটাই হওয়া আধিকারিকদের যে পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা, তা দিতে গেলে কোপ পড়তে পারে বাকি কর্মীদের বেতনে। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টুইটারের প্রায় সাড়ে সাত হাজার কর্মীর কোম্পানির কমপেনসেশন স্কিমের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮২২ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা) বকেয়া হতে পারে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটারের যে কমপেনসেশন স্কিম রয়েছে, সেই মতো ওই তিন শীর্ষ আধিকারিককে ছাঁটাইয়ের জন্য ইলন মাস্ককে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি (ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৬৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) অর্থ দিতে হবে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি পে আউট পাবেন পরাগ আগরওয়াল। কারণ, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে টুইটারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি। টুইটারের সঙ্গে ওই চুক্তি অনুযায়ী, কমপেনসেশন স্কিমের আওতায় তাঁকে প্রায় ৪২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪৫ কোটি ৬০ হাজার টাকা) দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। টুইটারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যে যদি তাঁকে সংস্থা ছেড়ে দেয়, তাহলে এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা পরাগের।
টুইটার কিনে নেওয়ার পরপরই ইলন মাস্ক একটি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘বার্ড ইজ় ফ্রিড।’ বাংলায় একটি গানের সঙ্গে মিলিয়ে তর্জমা করলে খানিক এমন দাঁড়ায়, ‘যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে…’। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিকে বাকস্বাধীনতার মুক্তাঙ্গন করার যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছেন, এটি তারই একটি ইঙ্গিত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ফোর্বসে প্রকাশিত ধনীদের তালিকা অনুযায়ী, ইলন মাস্কের সম্পত্তির মূল্য ২২১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা) বলে অনুমান করা হয়েছে।