Alien Signal: ৭২ সেকেন্ডের এলিয়েন সিগন্যাল! মহাবিশ্বের কোথা থেকে এল আজ জানা গেল
Alien: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৪৫ বছর আগে এসেছিল এই ধরনের সিগন্যাল। এবং তা মাত্র ৭২ সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়েছিল। তার পর থেকে এত বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু ওই ধরনের সিগন্যাল আর আসেনি
ক্যালিফোর্নিয়া: প্রায় অর্ধশতক আগে একটি এলিয়েন বার্তা এসেছিল পৃথিবীতে। সেই বার্তার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৭২ সেকেন্ড। বিগ ইয়ার রেডিয়ো টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল সৌরজগতের বাইরে থেকে আসা সেই বার্তা। তার পর ৪৫ বছর কেটে গিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এত দিন পর জানতে পারলেন কত দূর থেকে পৃথিবীতে এসেছিল সেই বার্তা। অদ্ভুত সেই সিগন্যালকে ‘wow’ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেরি এম্যান সেই বার্তার ফ্রিকোয়েন্সিও চিহ্নিত করতে সমর্থ হয়েছেন।
১৯৭৭ সালের ১৫ অগস্ট। রাত তখন ১১ টা বেজে ১৬ মিনিট। বিগ ইয়ার রেডিয়ো টেলিস্কোপে ধরা পড়ল একটি সিগন্যাল। কিন্তু সেই সিগন্যালের ধরন দেখে বিস্মিত হলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের সন্দেহ হল মহাকাশের কোনও দূরের নক্ষত্রজগত থেকে এসেছে এ রকম বার্তা। তার পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হল গবেষণা।
বিশ্বব্রহ্মান্ডের বিভিন্ন তরঙ্গের বিশ্লেষণ করে এক্সটারনাল টেরিস্টেরিয়াল ইনটেলিজেন্স (SETI)। তার মাধ্যমে জানা গেল ৬৬জি এবং কে ধরনে নক্ষত্র থেকে এসেছে এই এলিয়েন সিগন্যাল। তার পর আরও বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গেল, সূর্যের মতো নক্ষত্র জগত থেকে এসেছে এই বার্তা। সেই ধরনের নক্ষত্রে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই ধরনের যে নক্ষত্র জগত থেকে বার্তা এসেছে তার দূরত্ব পৃথিবী থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ আলোকবর্ষ দূরে। ইন্টারন্যালনাল জার্নাল অব অ্যাস্ট্রোবায়োলজিতে এলিয়েন সিগন্যালের ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৪৫ বছর আগে এসেছিল এই ধরনের সিগন্যাল। এবং তা মাত্র ৭২ সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়েছিল। তার পর থেকে এত বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু ওই ধরনের সিগন্যাল আর আসেনি। এই ঘটনা নতুন ভাবনার জন্ম দিয়েছে বিজ্ঞানীদের মনে।
এই সিগন্যালের উৎস জানতে ৫৫০টি নক্ষত্রের উপর নজর রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখেছেন, যে সকল নক্ষত্রের তাপমাত্রা ৪,৪৫০ থেকে ৬০০০ কেলভিনের মধ্যে। সে রকমই নক্ষত্র থেকে এই সিগন্যাল আসার সম্ভাবনা প্রবল। সূর্যও একটি জি টাইপ নক্ষত্র। এর তাপমাত্রা প্রায় ৫৭৭৮ কেলভিন। তাই যে নক্ষত্র এই এলিয়েন সিগন্যাল এসেছিল, সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।