ঢাকা: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বার্তা পাঠিয়েছে। এবার বাংলাদেশ সফরে এসে একই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ধর্মীয় স্থানে হামলা দুঃখজনক। ইউনূস প্রশাসনের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চাইছে বলেও জানালেন ভারতের বিদেশ সচিব।
সোমবার বাংলাদেশে পৌঁছন ভারতের বিদেশ সচিব। ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে বিক্রম মিশ্রি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। ধর্মীয় স্থান, সাংস্কৃতিক স্থানে হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এই সব ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রশাসন ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তিনদিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এদিন ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “মহম্মদ ইউনূস শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত।”
এদিন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিক্রম মিশ্রি। প্রথমে দুই দেশের বিদেশ সচিব একান্তে বৈঠক করেন। তারপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে মনে করেন কূটনীতিকরা। তবে বিদেশ সচিব বললেন, “দুই দেশের সম্পর্কে ভাটা পড়ার কোনও কারণ নেই। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ জড়িত রয়েছে এমন সব ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।”