মেলবোর্ন: অনেকেই আছেন যাঁরা মদে আসক্ত। মদ না খেলে তাঁদের দিন কাটে না। এই আসক্তি অনেক সময়ই শরীরে বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে মদই মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মদে আসক্তি মানসিক স্বাস্থ্যকেও বিঘ্নিত করে। সম্প্রতি এক মদে আসক্তের জীবন কাহিনি সামনে এসেছে। তা শুনে চমকে যাচ্ছেন নেটিজেনরা। মদে আসক্তির গল্প এক মহিলার। ওই মহিলা এক জন লেখক এবং ফিটনেস ট্রেনার। মদের উপর তিনি কী রকম নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন সেই ঘটনার কথা নিজেই জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর নাম জাস্টিন উইটচার্চ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টের বাসিন্দা। মদের নেশা কী ভাবে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে সে কথাই জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা জাস্টিন জানিয়েছেন রোজ মদ খান তিনি। তবে এক বোতল মদে দিন চলে না তাঁর। সারা দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বোতল মদ খান তিনি। এই অভ্যাসে জাস্টিনের বাড়ির লোকও বিরক্ত। অনেক সময় তাঁর বাবা-মা তাঁকে চোখে চোখে রাখেন। যাতে তিনি মদ খেতে না পারেন। কিন্তু বাবা মায়ের চোখে ধুলো দিতে তিনি কী করেন সে কথাও জানিয়েছেন জাস্টিন। তিনি জানিয়েছেন, বাবা-মা কাছাকাছি থাকলে তিনি শ্যাম্পুর বোতলে মদ ঢেলে রাখতেন। তার পর সেই বাথরুমে গিয়ে শ্যাম্পুর বোতল থেকে মদ খেতেন। কিন্তু রোজ এত মদ খেয়েও নেশা হত না বলে দাবি জাস্টিনের। তিনি জানিয়েছেন, মদের নেশা চড়ানোর জন্য মদ খাওয়ার পর মাউথওয়াশও খেতেন তিনি।
জাস্টিন জানিয়েছেন মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে মদ খাওয়া শুরু করেছেন তিনি। মদ খেলে মনের ভিতর উদ্বেগ কমে যেত বলেও দাবি করেছেন ওই অস্ট্রেলীয় মহিলা। প্রথম প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাঁর মদ খাওয়ার অভ্যাগ বেড়ে গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এত বেশি পরিমাণ মদ খাওয়ার জেরে তাঁর শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছিল। লিভার সিরোসিস, প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ক্যানসারের প্রথম ধাপেও আক্রান্ত হন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে রিহ্যাবিলেশন সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে দীর্ঘ দিন কাটানোর পর মদের নেশা ছেড়েছেন জাস্টিন। এখন তিনি অনেক ভাল আছেন বলেও জানিয়েছেন।