ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে এক শিশুর জন্ম নিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে ডাক্তারদের মধ্যে। এক শিশুর দুটি লিঙ্গ (Penus)। শুধু দুটি লিঙ্গই নয়। দুটিই সমানভাবে কাজ করে। এদিকে কোনও মলদ্বার নেই তার। এই শিশুর এহেন শারীরিক গঠন দেখে হতবাক পাকিস্তানের ডাক্তাররা।
জানা গিয়েছে, একটি বিরল চিকিৎসাগত অবস্থার কারণেই ওই শিশুর দুটি কার্যকরী লিঙ্গ রয়েছে। দুটি লিঙ্গের আকারই স্বাভাবিক। তবে একটি সামান্য বড় অন্যটির তুলনায়। ডাইফেলিয়া (Diphallia)-র কারণেই এরকম শারীরিক অবস্থা দেখা যায়। যদিও তা খুবই বিরল। ৬০ লক্ষ শিশুর মধ্যে হয়ত একজনের মধ্যে এই অস্বাভাবিকতে দেখা যায়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সার্জারিতে এই কেসের সম্বন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসা সাহিত্যে ডাইফেলিয়ার মাত্র ১০০ টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ডাইফেলিয়ার প্রথম কেস রিপোর্ট হয় ১৬০৯ সালে।
ডেইলি মেইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শিশুর একটি লিঙ্গ অন্য লিঙ্গের থেকে এক সেন্টিমিটার লম্বা। দুটি দিয়েই মূত্র বের হচ্ছে। কিন্তু শিশুর কোনও মলদ্বার না থাকায় মল বের হওয়ার কোনও জায়গা নেই। তাই শিশুর দেহে এক অস্ত্রোপচার করে মলদ্বারের মতো একটি গর্ত তৈরি করেন ডাক্তাররা। কিন্তু দুটি লিঙ্গই রেখে দিয়েছেন তাঁরা। তবে এর পিছনে কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেননি তাঁরা। পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই খুদে। জন্মের পর পরই শিশুটিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে তাঁর পরিবারে জন্মগত ত্রুটির কোনও ইতিহাস নেই বলেই জানা গিয়েছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শিশুর একটি ফ্যালাসের দৈর্ঘ্য ছিল ১.৫ সেন্টিমিটার। অন্যটির দৈর্ঘ্য ছিল ২.৫ সেন্টিমিটার। ছেলেটির দুটি মূত্রনালির সঙ্গে একটিই মূত্রাশয় সংযুক্ত ছিল। তাই উভয় লিঙ্গ থেকে প্রস্রাব করতে পারছিল সে। অস্ত্রোপচারের পর দুই দিন শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়। তবে ডাইফেলিয়া হওয়ার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।