ঢাকা: অভাবনীয়! মসজিদের দানবাক্স খুলতেই বেরোচ্ছে গোছা-গোছা টাকা। সেগুলি বস্তাবন্দি করার পর সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। অর্থাৎ দানবাক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩ বস্তা (23 sacks) টাকা। তাও আবার মাত্র ১০৪ দিনের মাথায়। যা দেখে হতবাক মসজিদের কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক- সকলেই। অভাবনীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে (Pagla mosque)।
গত ১৯ অগাস্ট পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন মসজিদের সিন্দুক থেকে উদ্ধার হয় ৫ কোটি ৭৮ লক্ষ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। তার আগে গত ৬ মে মসজিদের সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন মিলেছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। তার আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিন্দুক খোলা হলে পাওয়া যায় ৪ কোটিরও বেশি টাকা। এরপর ফের ১০৪ দিনের মাথায় শনিবার উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মহম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপারের মেহম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের নয়টি সিন্দুক খোলা হয়। সেগুলির ভিতর থেকে মোট ২৩ বস্তা টাকা উদ্ধার হয়েছে। যার মোট পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। শুধু টাকা নয়, তার সঙ্গে সোনার গয়নাও রয়েছে বলে জানান এসপি। তিনি বলেন, সিন্দুক খোলার পরই সমস্ত টাকা ও গয়না বস্তায় ভরেছি। এবার গণনা শুরু হয়েছে। এগুলি ব্যাঙ্কে পাঠানো পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার দেড়শোর বেশি পড়ুয়া-সহ মসজিদের কর্মী, ব্যাঙ্ককর্মী এবং পুলিশ আধিকারিকেরাও টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত রয়েছেন।
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলতেই উদ্ধার হয় কোটি-কোটি টাকা। তাই টাকার অঙ্ক নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁরা জানান, পাগলা মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়- এই বিশ্বাস থেকেই মুসলিম-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকই পাগলা মসজিদে দান করেন। যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির।
মসজিদের দানবাক্স থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা বিশেষ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানান মসজিদ কমিটির সভাপতি মহম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, প্রায় ৫০ হাজার জন যাতে একসঙ্গে পাগলা মসজিদ চত্বরে বসে প্রার্থনা করতে পারে, তার জন্য নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া মহিলাদের প্রার্থনার জন্যও পৃথক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।