চট্টগ্রাম: বেশ কিছুদিন ধরেই শাসক আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপির মধ্যে চলা রাজনৈতিক চাপানউতোরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশের রাজনীতি। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত নিয়ে ক্রমাগত সরকারকে বিঁধে চলেছে বিরোধী বিএনপি। গতকাল ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। এই কর্মসূচি চলাকালীন, চট্টগ্রামে বাংলাদেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। এই ঘটনায় ৪৯ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল চট্টগ্রাম আদালত। মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারপতি মেহেনাজ রহমান বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপি নেতারা সরব হয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের রায় সামনে আসার পর খানিক ব্যাকফুটে বিএনপি।
কী ঘটেছিল বুধবার?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে, চট্টগ্রামে বিএনপির ৬০০ থেকে ৭০০ নেতাকর্মী বুধবার বিকেলে উপস্থিত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের জন্য তারা জড়ো হয়েছিলেন। জমায়েত বেশি থাকায় যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। যানজট তৈরি পরিস্থিতি হয় পুলিশের তরফে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলা হয়। এরপরই উত্তেজিত হয়ে পুলিশের দিকে ছুটতে শুরু করে বিএনপি সমর্থকরা। পাল্টা লাঠি লাঠিচার্জ করে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে ৪৯ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছিল পুলিশ। নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, চট্টগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী, এম এ আজিজ, নাজিবুর রহমান, সাইফুল আলম, কাজী বেলাল, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট মারা সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও যান চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।