ঢাকা: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। করোনা সেরে গেলেও এখনও ক্রিটিক্যাল কেয়ারেই আছেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হার্ট এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছেন খালেদা। বাংলাদেশের এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার দল বিএনপির মহাসচিব জানিয়েছেন, ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন বেশ ভালো, অতিরিক্ত তাপমাত্রা নেই, শ্বাসকষ্টও নেই। করোনা-পরবর্তী জটিলতা নিয়েই চিন্তায় আছেন তিনি। করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর করোনাসংক্রান্ত অনেকগুলো জটিলতা দেখা দেয় এবং শ্বাসকষ্ট বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিদিন মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসায় নজর রাখছেন। তাঁরা আমেরিকা ও ইংল্যান্ড এই দুটি দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাড়ি ‘ফিরোজা’য় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ৩ মে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকেরা তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেদিন থেকে তাঁর সেখানেই চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রককে দুষছে বিদেশমন্ত্রক, টিকা নিয়ে চাপে বাংলাদেশ
দুর্নীতির দুই মামলায় বছর তিনেক আগে জেলে যেতে হয়েছিল ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছর ২৫ মার্চ ‘মানবিক কারণে’ শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। তারপর থেকেই তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাড়িতে থাকেন।