Bangladesh: ‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ, তাকাতেই দেখি হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে’; ঢাকায় বিস্ফোরণে মৃত ৩

Explosion in a 3-storied building in Dhaka: রবিবার সকাল ১০ টা ৫২ মিনিটে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার এক তিনতলা বাড়িতে প্রথমে বিস্ফোরণ এবং তারপর আগুন ধরে যায়। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের, আহত আরও ১৪ জন।

Bangladesh: 'হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ, তাকাতেই দেখি হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে'; ঢাকায় বিস্ফোরণে মৃত ৩
বিস্ফোরণের পর তিনতলা বাড়িটি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 9:34 PM

ঢাকা: অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এল আগুন। রবিবার সকাল ১০ টা ৫২ মিনিটে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার এক তিনতলা বাড়িতে প্রথমে বিস্ফোরণ এবং তারপর আগুন ধরে যায়। বসুন্ধরা গলিতে অবস্থিত সুকন্যা টাওয়ারের পাশেই ওই ভবনটি অবস্থিত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে বিকেলের মধ্যে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা দমকল বিভাগ। সূত্রের খবর, এই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তিনজন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। আরও ১৪ জনকে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল দমকল বিভাগের চারটি ইঞ্জিন। পরে অন্যান্য এলাকা থেকে আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর জানানো হয়েছিল যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে শর্ট সার্কিট থেকেই সম্ভবত এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে ঢাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বা সিটিটিসি-র বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। তিনতলা ভবনটিতে বিস্ফোরণের কারণ বিষয়ে দমকল বিভাগের সঙ্গে একমত হননি তাঁরা। দলটির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁদের তদন্ত বলছে বর্জ পদার্থ বের করার পাইপ লাইনে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস জমছিল। ক্রমে চাপ বাড়ছিল। আর তা থেকেই ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনটির তৃতীয় তলটিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনতলা ভবনটিতে বেশ কিছু কাপড়ের দোকান ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের সময় ভবনটি থেকে ইট ও জানালার কাচ উড়ে গিয়ে রাস্তায় ও আশপাশের বাড়িগুলিতে পড়েছিল। আশপাশের আবাসিক ভবনগুলি থেকে আতঙ্কে নীচে নেমে আসেন মানুষ। ঘটনার সময় নীচে ভবনটির প্রধান প্রবেশদ্বারে নিযুক্ত ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী মহম্মদ আনিস। তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎই প্রচণ্ড জোরে একটা শব্দ পেয়েছিলেন। এরপরই তার হাতে একটা কিছু উড়ে এসে আঘাত করেছিল। তাকিয়ে দেখেছিলেন হাত দিয়ে ঝর ঝর করে রক্ত পড়ছে। পাশের এক ওষুধের দোকান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসার পর তিনি দেখেছিলেন, ভবনটির তিনতলা থেকে ইট, কাচ খুলে খুলে নীচে পড়ছে।