ভাঁড়ারি পাহাড়ে আজ টানটান রাত, জাগছে ওরা, ‘ক্লাইম্যাক্স’ দেখেই ছাড়বে!
Tigress Zeenat: বুধবার দিনভর পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের রাইকা ও সংলগ্ন ভাঁড়ারি পাহাড়ে রেডিও কলার ট্র্যাকিং অ্যান্টেনার মাধ্যমে তল্লাশি চালিয়ে বন দফতর নিশ্চিত হয় বাঘিনি জিনাত ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে ভাঁড়ারি পাহাড়ের রাইকা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়।
পুরুলিয়া: দিন পেরোচ্ছে, রাত কাটছে, হেঁটেই চলেছে বাঘিনি। জঙ্গল-পাহাড় পেরিয়ে বাঘিনি একেবারে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে বন দফতরকে। ধরা পড়ছে না কিছুতেই। কখন সে কোথায় এসে পড়বে, সেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গোটা গ্রামের। এবার মরিয়া বন দফতর। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের পাহাড়ে বাঘিনি জিনাতকে আজ বড়দিনের রাতেই খাঁচাবন্দি করতে চায় বন দফতর। বাড়ানো হল খাঁচার সংখ্যা। রাত পর্যন্ত সেই খাঁচা পাতা হল ভাঁড়ারি পাহাড়ের চারপাশে।
খাঁচার উপর রাতভর চলবে নজরদারি। তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বনকর্মীদের বিশেষ দল। খাঁচার আশপাশে জিনাতের দেখা মিললেই ঘুমপাড়ানি গুলি করে তাকে কাবু করা হবে, তার জন্য মোতায়েন থাকছে ট্রাঙ্কুলাইজ টিমও।
বাঘিনি জিনাতের অবস্থান নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। বুধবার দিনভর পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের রাইকা ও সংলগ্ন ভাঁড়ারি পাহাড়ে রেডিও কলার ট্র্যাকিং অ্যান্টেনার মাধ্যমে তল্লাশি চালিয়ে বন দফতর নিশ্চিত হয় বাঘিনি জিনাত ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে ভাঁড়ারি পাহাড়ের রাইকা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়। এরপর তাকে বুধবার রাতেই খাঁচাবন্দি করার যাবতীয় পরিকল্পনা করে ফেলেছে বন দফতর।
দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা দফায় দফায় বৈঠক করে পাহাড়ের ওই নির্দিষ্ট এলাকার সবকটি সম্ভাব্য পথে খাঁচা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন বাঘিনিকে খাঁচাবন্দী করার জন্য তিনটি খাঁচা ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই খাঁচাগুলির পাশাপাশি বুধবার আরও দুটি অতিরিক্ত খাঁচা বসানো হয়েছে ভাঁড়ারি পাহাড়ে। গভীর জঙ্গলে রাতভর সেই খাঁচাগুলির উপর কড়া নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বনকর্মীদের। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে খাঁচার আশপাশে বাঘিনির দেখা মিললেই ট্রাঙ্কুলাইজ করে বাঘিনিকে বন্দি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।