AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Siliguri: হয় পদ ফাঁকা, নয়তো কর্মীরা কলকাতায়, তিনশো কোটির উত্তরকন্যা এখন ধুঁকছে!

Siliguri: ব্যবসায়ীদের দাবি, কথা ছিল সব দফতরের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা এখানে থাকবেন। নবান্নের বদলে উত্তরকন্যাই হবে উত্তরের মুশকিল আসান। কিন্তু প্রথম কয়েক বছর ঠিকঠাক থাকলেও এখন উত্তরকন্যায় অধিকাংশ দফতরের শীর্ষআমলারা বসেন না৷  কর্মীদের বহু পদ ফাঁকা।

Siliguri: হয় পদ ফাঁকা, নয়তো কর্মীরা কলকাতায়, তিনশো কোটির উত্তরকন্যা এখন ধুঁকছে!
উত্তরকন্যা Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2025 | 12:07 PM
Share

শিলিগুড়ি : উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়িতে প্রায় তিনশো কোটি টাকা খরচ করে গড়ে উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যা। উত্তরের বাসিন্দাদের সরকারি কাজে কলকাতামুখী হওয়ার বদলে এই মিনি সেক্রেটারিয়েট থেকেই শুরু হয়েছিল যাবতীয় কাজকর্ম। কিন্তু এবার সেই উত্তরকন্যা ঘিরেই ক্ষোভ ব্যবসায়ী মহলে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, কথা ছিল সব দফতরের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা এখানে থাকবেন। নবান্নের বদলে উত্তরকন্যাই হবে উত্তরের মুশকিল আসান। কিন্তু প্রথম কয়েক বছর ঠিকঠাক থাকলেও এখন উত্তরকন্যায় অধিকাংশ দফতরের শীর্ষআমলারা বসেন না৷  কর্মীদের বহু পদ ফাঁকা। অথবা কর্মী বদলির পর উত্তরকন্যায় কর্মী নিয়োগ হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যায় হয়রান হতে হচ্ছে। বারবার উত্তরকন্যায় গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, পেনশন, নগর-উন্নয়ন দফতর এবং সিএমও ছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পুরোদমে কাজ হলেও বাকি বেশিরভাগ দফতরেই কর্মী সঙ্কট আছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মীরা অনত্র বদলি হয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এলে সেই সময়ে দফতরের সচিবরা সঙ্গে আসেন। সে সময়ে কর্মীরাও আসেন। মুখ্যমন্ত্রী চলে যেতেই ফের শুনশান হয়ে যায় অধিকাংশ দফতর। কাজের গতিও অত্যন্ত শ্লথ।

সিপিএমের অশোক ভাট্টাচার্য বলেন, “আসলে সরকারের অনেক দফতর শিলিগুড়িতে ঘড় ভাড়া নিয়ে চলত। সেগুলি উত্তরকন্যায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। আর প্রচার করা হয়েছিল সচিব পর্যায়ের অফিসার বসবেন। এটা মিনি সেক্রেটারিয়েট হবে। তা আর হয়নি। কর্মীর অভাবে সে সব দফতর ঢুকছে। অথচ তিনশো কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল এই উত্তরকন্যা বানানোর জন্যে।”

বিজেপির শঙ্কর ঘোষ বলেন, “উত্তরকন্যা ভাওতা মাত্র। আমরা আগেই বলেছিলাম। এবার ব্যবসায়ীরা বলছেন। তারাই সরকারকে চিঠি দিচ্ছেন। ওখানে অধিকাংশ দফতরে কর্মী নেই। পোস্টিং নেই। নতুন নিয়োগ নেই। মমতা এলে কলকাতা থেকে সবাই আসেন। মমতা গেলে তাঁরাও ফিরে যান।”

যদিও জেলা তৃণমূলের তরফে দাবি, “উত্তরকন্যা উত্তরের দিশারী। রাজ্যে উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক প্রকল্পে নানা কাজ এখন ভিনরাজ্যের মডেল। উত্তরবঙ্গের মানুষকে কলকাতা যেতে হয় না। দুয়ারেই এখন উত্তরকন্যা।”