সন্ধ্যা নামলেই ঝুপঝাপ দরজা বন্ধ যাচ্ছে পুরুলিয়ার এই গ্রামে, চোখে শুধুই আতঙ্ক, যদি সে আসে!
Tigress Zeenat: বান্দোয়ান ব্লকের ভাঁড়ারি পাহাড় লাগোয়া রাহামদা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী ও পশুপালক। পাহাড় লাগোয়া জমিতে সামান্য চাষ-আবাদ ছাড়াও ছাগল, গরু, ভেড়া, শুকর, মুরগী পালন করে কোনওমতে চলে সংসার।
পুরুলিয়া: অনেক হাঁটাহাঁটির পর পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঘিনি। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের ভাঁড়ারি পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে জিনাত। এ কথা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা পাহাড় লাগোয়া রাহামদা গ্রাম। দিনের বেলাটা তাও কাটছে কোনও ক্রমে, সন্ধ্যার অন্ধকার নামতেই গৃহবন্দি হয়ে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। দরজা বন্ধ অধিকাংশ বাড়ির। জনমানবশূন্য গ্রামের রাস্তাঘাট।
বান্দোয়ান ব্লকের ভাঁড়ারি পাহাড় লাগোয়া রাহামদা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী ও পশুপালক। পাহাড় লাগোয়া জমিতে সামান্য চাষ-আবাদ ছাড়াও ছাগল, গরু, ভেড়া, শুকর, মুরগী পালন করে কোনওমতে চলে সংসার। প্রত্যন্ত গ্রাম হলেও আদিবাসী এই গ্রামের মানুষ দিনভর কাজ সেরে সন্ধ্যায় প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে সময় কাটান। সন্ধ্যার পর গ্রামের যুবকেরা ইতিউতি আড্ডা দেন, কেউ কেউ গ্রামের মাথায় তাস খেলায় মেতে ওঠেন।
স্থানীয় বাজার ও হাট সেরে সন্ধ্যার পর বাড়িতে ফেরেন গ্রামের মানুষ। কিন্তু জিনাত এক লহমায় বদলে দিয়েছে সেই ছবি। সন্ধ্যার পর রাহামদা গ্রাম এখন এক পরিত্যক্ত গ্রাম। সন্ধ্যে নামলেই গ্রামের অধিকাংশ দরজায় খিল পড়ছে। সন্ধ্যা নামলেই বাঘের আতঙ্কে ঘরে ঢুকে পড়ছেন মানুষজন। বাঘের আতঙ্কে সন্ধ্যের আগেই নিজের নিজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন প্রত্যেকে। ফলে রাস্তাঘাট হয়ে পড়ছে শুনশান। গ্রামের মানুষের এখন একটাই কামনা দ্রুত খাঁচাবন্দি হোক বাঘিনি জিনাত।