ঢাকা: কাবুল তালিবানের দখলে চলে যাওয়া ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে চিন, পাক প্রধানমন্ত্রীই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আর বাংলাদেশ জানাল যে যে সরকারই ‘জনগণের পক্ষে হবে, তার জন্যই দরকা খোলা রাখবে তারা। তালিবান যদি জনগণের সরকার গড়ে, তাহলেও আপত্তি নেই বাংলাদেশের। সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আফগানরা যে সরকার গড়বে, তা বাংলাদেশও মেনে নেবে।’
তালিবান ক্ষমতায় এলে ঢাকা-কাবুল সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, ‘আফগানিস্তান সার্কের সদস্য। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা চাই, তাদেরও উন্নতি হোক। আমরা সবাইকে নিয়ে সবার উন্নয়ন করতে চাই।’ তাঁর কথায়, ‘নতুন যে সরকারই আসুক, সেটা যদি জনগণের সরকার হয়, তাহলে আমরা তাকে গ্রহণ করব।’ তিনি সাফ জানান, বাংলাদেশ জনতার সরকারে বিশ্বাস করে। গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাস করে। আফগানিস্তানের মানুষের যেটা ইচ্ছা, তারা যে সরকার গঠন করবে, তাতেই আস্থা রাখবে বাংলাদেশ। মোমেন উল্লেখ করেন, ‘যদি তালিবান জনগণের সরকার গঠন করে, তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
এ দিকে, এ বারও কিছু বাংলাদেশি তালিবানে যোগ দিতে ঘর ছেড়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসবাদী আমাদের দেশে ছিল, তারা আফগান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল, আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করেছি, আমাদের দেশে সে সন্ত্রাসবাদী আর নেই।’
গতকাল রাতেই কাবুল দখল করেছে তালিবান। প্রেসিডেন্টের ভবনের অন্দরে ঢুকে পড়েছে তারা। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং স্বাগত জানিয়েছেন এই বিষয়টাকে। আগামিদিনে আফগানিস্তানের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এই চিনা আধিকারিক। শুধু তাই নয়, তালিবানও যে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, সে কথাও জানিয়েছে চিন।
অন্যদিকে, তালিবানি শাসন ফিরতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর মতে, এতদিন ধরে দাসত্বের শিকল পরানো ছিল আফগানিস্তানে। তালিবানি শাসনে কার্যত ভেঙেছে সেই শিকল। আগেই ইমরান খান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে আসরাফ ঘানির ইস্তফা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। আরও পড়ুন: ‘যা চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি’, আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষের বার্তা দিল তালিবান