ঢাকা: বই মিলিয়ে দিল এপাড় বাংলা – ওপাড় বাংলাকে। গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সল্টলেকে কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে একুশে বই মেলার উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার বাংলা আকাদেমিতে ‘অমর একুশে’ বইমেলার উদ্বোধন করেন তিনি। মাদক ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি যুব সমাজের ঝোঁক কমাতে আরও বেশি করে সাহিত্যচর্চার প্রয়োজনিয়তার উপর জোর দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত করাতে অনুবাদের উপর জোর দিতে হবে।”
বাংলাদেশের বাংলা আকাদেমির সভাপতি তথা কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একুশে বইমেলার উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে সাহিত্য়ের বিভিন্ন বিভাগে অবদানের জন্য ১৫ জন সাহিত্যিকের হাতে বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের একুশে বইমেলায় মোট ৬৩১টি স্টল তৈরি হয়েছে। মূল মেলার আয়োজন করা হয়েছে বাংলা আকাদেমি লাগোয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া বাংলা আকাদেমি প্রাঙ্গণে বহু প্রকাশনা এবং বই বিক্রেতা সংস্থা স্টল দিয়েছে। তবে মেলার প্রধান কর্মকাণ্ড চলছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই। এখানেই মেলার মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিনই বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাহিত্যকর্মীদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান চলবে। সরকারিভাবে মেলার উদ্বোধন হয়ে গেলেও, স্টল নির্মাণের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৮০ শতাংশ স্টলের নির্মাণকাজ শেষ বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে।
তবে, তাতে বইপ্রেমী মানুষের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। উদ্বোধনের দিন থেকেই কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাহিত্যপ্রেমীরা বিপুল পরিমাণে ভিড় জমান মেলা প্রাঙ্গনে। বাংলা আকাদেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও একুশে বইমেলা সমাজের বিভিন্ন অংশের বইপ্রেমী মানুষের মিলন মেলা হয়ে উঠবে। শুধু বাংলাদেশেরই নন, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকেও একুশে বই মেলাকে কেন্দ্র করে বহু বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক-লেখকও এই মুহূর্তে ভিড় জমিয়েছেন ঢাকা শহরে। এক মাস ধরে চলবে মেলা, শেষ হবে ২৮ ফেব্রয়ারি।