ঢাকা: আসন্ন জি-২০ (G-20 Summit) বৈঠকে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির বক্তব্য তুলে ধরার লক্ষ্যে দিল্লিতে ‘ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট’ আয়োজন করতে চলেছে ভারত। আগামী ১২-১৩ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি এই সম্মেলন হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বিশ্বের ২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-২০-র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তারই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলতি মাসে এই ‘ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট’ বা VGSS-এর আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১২-১৩ জানুয়ারি ভারত এই সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে। ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের মধ্যে যে আলোচনা হবে, তার নির্যাস পেশ করা হবে জি-২০ সম্মেলনে। এপ্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নতুন ও অনন্য উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’-এর দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত। পাশাপাশি এটি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর ভারত দর্শনের সঙ্গেও সামঞ্জস্য রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিনয় কোয়ার নয়া দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এই সম্মেলনে মূলত কোভিড মহামারীর মোকাবিলা, বিশ্বের আর্থিক সংকট এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণের ফাঁদে পড়ার শঙ্কা নিয়ে আলোচনা হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো কী চায়, সেই আলোচনার ফলাফল নিয়ে বিবৃতি প্রকাশিত হবে।”
জানা গিয়েছে, VGSS-এর উদ্বোধনী অধিবেশনের থিম হল ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ- হিউম্যান সেন্ট্রিক ডেভেলপমেন্ট’ ও সমাপ্তি অধিবেশনের বিষয় হল, ‘ইউনিটি অব ভয়েস – ইউনিটি অব পারপোজ’।
মূলত দু-দিনের এই সম্মেলনের রাষ্ট্রপ্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া আরও ৮টি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হবে। তার মধ্যে অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী পর্যায়ে অধিবেশন হবে। ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভিডিয়ো সংযোগে যুক্ত হবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। বাকি দেশগুলির মধ্যে আফ্রিকান ইউনিয়নের পাঁচটি দেশ অ্যাঙ্গোলা, ঘানা, নাইজেরিয়া, মোজাম্বিক ও সেনেগাল, আসিয়ান জোটের তিনটি দেশ- থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম এবং উজবেকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, সংযুক্ত আরব আমির শাহি ও পাপুয়া নিউ গিনির রাষ্ট্রপ্রধানেরাও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।
এই সম্মেলনে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আফ্রিকা, আসিয়ান জোটের দেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রভাবশালী সব দেশকেই কোনও না কোনও পর্যায়ে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু, এই সম্মেলনে ব্রাত্য রয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং চিন।