ঢাকা: আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ছিনতাইয়ের ঘটনায় মুখ পুড়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের। ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেলেও, ওই দুই জঙ্গির সন্ধান পায়নি পুলিশ। এই অবস্থায় গোটা বাংলাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই জঙ্গিকে ধরতে গোটা দেশের সমস্ত থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানিয়েছেন, পলাতক দুই জঙ্গির ছবি সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। দেশের জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চৌকি। এর পাশাপাশি জঙ্গি বা অন্যান্য কুখ্যাত অপরাধীদের আদালতের আনা বা নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা চলছে। বিপ্লব বিজয় বলেন, কুখ্যাত আসামীদের ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বা সিটিটিসি-পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা সকলেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হলেন বহিষ্কৃত পলাতক সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। সে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান। এই সংগঠনের ১৮ জন সঙ্গী এই ঘটনায় জড়িত।
গত রবিবার (২০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা বেজে ৪৫ মিনিটে ঢাকার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান দরজার সামনে থেকে জামাত উল মুজাহিদিনের সদস্য তথা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল আশপাশে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো স্প্রে করে, ঘুষি মেরে কাবু করা হয়। তারপর জঙ্গি দুজনকে একটি মোটর সাইকেলে করে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দুই জঙ্গির নাম মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক তথা ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল তারা। এই ঘটনায় আসামীদের ধরতে সহযোগিতা করলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।