Bangladesh News: প্রিয়জনদের নিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি প্রধানমন্ত্রীর, শেখ হাসিনার সঙ্গে এরা কারা জানেন?

ঢাকা: ২৫ জুন শনিবার মহা ধুমধামে উদ্বোধন হয়েছিল বাংলাদেশের সব থেকে দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর। দেশের সবথেকে দীর্ঘতম নদী সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতল এই সেতু উদ্বোধনের পর টোল ট্যাক্স দিয়ে সটান সেতুর ওপর পৌঁছে গিয়েছিলেন হাসিনা। সোমবার, আরও একবার ‘বাংলাদেশের গর্ব’ পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে খানিকক্ষণ সময় কাটাতে দেখা গেল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ পদ্মা সেতু দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর সেতুর উপর দিয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ফিরেছিলেন হেলিকপ্টারে। সেতু উদ্বোধনের পর এই প্রথম তার ওপর দিয়ে নিজের জন্মভিটেয় গেলেন তিনি।

এদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ছিলেন। নিজের বাসভবন গণভবন থেকে সকাল ৮টা নাগাঢ় টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যাত্রাপথে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়ায় পরিবার সমেত খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। সকাল ১০টা নাগাদ মাওয়া প্রান্ত থেকে টুঙ্গিপাড়ার দিকে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। সোমবার পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সপরিবারে সেলফি তুলেছেন শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে বঙ্গবন্ধু তথা নিজের বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও সেখানে বেশ কিছু সরকারি কর্মসূচিতে ও অংশ নিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা নাগাদ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারকারের ১১ বছর সময় লেগেছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ করতে মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল এই সেতু স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সেতুর একতলায় চার লাইনের সড়কপথ ধরে চলবে বাস, গাড়ি সহ আরও যান। অন্যতলায় চলবে ট্রেন। তবে সেতু উদ্বোধনের পরই ঘটে বিপত্তি। একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সেতু চালু হওয়ার ফলে দুই বাংলার দূরত্বও প্রায় ১৫০ কিলোমিটার কমেছে।