AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh News: শহিদ মিনারের সামনে আমরণ অনশনে বসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন ছাত্র! কারণ কী?

Bangladesh News: শাহিনের হুমকি, সরকারের তরফে চাকরির নিশ্চয়তা না আসা অবধি তিনি জল অবধি খাবেন না। শাহিন আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

Bangladesh News: শহিদ মিনারের সামনে আমরণ অনশনে বসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন ছাত্র! কারণ কী?
ছবি: সংবাদ সংস্থা
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 8:41 PM
Share

ঝিনাইদহ: চাকরির সঙ্কটের কারণে অসংখ্য শিক্ষিত যুবক যুবতী বেকার হয়ে বসে আসেন। যোগ্যতা থাকলেও অনেকেই সম্মানজনক চাকরি পান না। বারবার বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির দরখাস্ত দিলেও অবস্থায় উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই। করোনা পরিস্থিতির পর কর্মসংস্থানের অবস্থাটা আরও খারাপ হয়েছে। প্রচুর মানুষ করোনার কারণে চাকরি হারিয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র একটি চাকরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী এমন করতে পারেন, এই কথা হয়তো স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি। চাকরি না পেয়ে প্রতিবাদকেই হাতিয়ার করেছেন বাংলাদেশের ওই দৃষ্টিহীন ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন আলম চাকরির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন।ঝিনাইদহ জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সোমবার সকাল থেকেই অনশনে বসেন তিনি। সরকারের কাছে তাঁর দাবি, যতক্ষণ তাঁকে চাকরি না দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।

শাহিনের হুমকি, সরকারের তরফে চাকরির নিশ্চয়তা না আসা অবধি তিনি জল অবধি খাবেন না। শাহিন আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে এইচএসসি পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের জোরাল দাবি জানিয়েছেন শাহিন। তাঁর মতে, এতদূর পড়াশুনা জানার পরও কেন তাঁকে কর্মহীন হয়ে থাকতে হবে? সোমবার সকালেই শহিদ মিনার এলাকায় দেখা যায় হাতে মাইক ও পিছনে একটি ব্যানার নিয়ে অনশনে বসে পড়েছেন শাহিন। বৃষ্টির ফলে সম্পূর্ণ ভিজে গেলে নিজের দাবি থেকে কোনওভাবেই তিনি সরে যাননি। সরকারের বিভিন্ন দফতররে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে চাকরি পাচ্ছেন না, শাহিনের এমনটাই অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লেখা পড়ার পাশাপাশি সে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। করোনার সময় তিনি নিখরচায় অনেকেই কম্পিউটার শিখিয়েছেন। এখন সরকার তাঁর দাবি মেনে নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।