ঢাকা: বাঙালি তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল, শারদীয় দুর্গোৎসব। এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও দুর্গাপুজোর (Durga Puja) নিয়ে উদ্দীপনার অন্ত নেই। এবছর বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশে বারোয়ারি দুর্গাপুজো হয়েছিল মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে। এবছর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪০৮টিতে। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক বাড়িতেও পুজোর প্রস্তুতি চলছে। যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
দুর্গাপুজো নিয়ে উদ্দীপনা ও পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধিই বাংলাদেশে সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ বলে জানান বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ, শনিবার ভোরে ঢাকার বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডশনের শুভ মহালয়া অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “আজ বাংলাদেশে সবকিছু ছাপিয়ে বড় উৎসব, বাঙালির উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে পয়লা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আমাদের দেশে যেভাবে বাংলা নববর্ষ উৎসব পালিত হয়, সরকারিভাবে ভাতা এবং ছুটি প্রদান করা হয়, সেটি অনেক ক্ষেত্রে পাশের দেশেও নেই।” তিনি আরও বলেন, “ধর্ম যার-যার. উৎসব সবার, ধর্ম যার-যার, রাষ্ট্রও সবার। আর সেটির প্রতিফলন আমরা দেখি দুর্গাপুজা, ইদ, প্রবারণা পূর্ণিমা-সহ বিভিন্ন ধর্মীয় পার্বণে, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে সামিল হয়।”
পুজো মণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডা. হাছান বলেন, “মানুষের সামর্থ্য ও সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানের ফলে প্রতি বছর পুজো মণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।” এই পুজোর মাধ্যমে মানুষে-মানুষে শান্তি-সম্প্রীতি আরও দৃঢ় করবে বলেও আশাবাদী তিনি।
দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্নের সূচনা হয় মহালয়ার মাধ্যমে। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে শুরু হয় দেবীপক্ষের আগমনী-বার্তা। কাকভোরে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় শক্তির প্রতীক, দশভুজা দেবীকে। এছাড়া দুর্গাপুজোর ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে এদিন থেকেই। তাই মহালয়া শারদীয় দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।