Ekushe February : ‘গুলি চালাও’, করাচি থেকে নির্দেশ পেতেই গর্জে উঠেছিল পুলিশের বন্দুক, আমি দাঁড়িয়ে সবটা দেখলাম

Rajib Khan | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Feb 21, 2023 | 3:23 PM

Ekushe February : তিনিই জিন্নাহর চোখে চোখ রেখে প্রথম বলেছিলেন মানছি না উর্দু (Urdu)। ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া রাষ্ট্রীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির গুরু দায়িত্বও সামলেছেন।

Ekushe February : ‘গুলি চালাও’, করাচি থেকে নির্দেশ পেতেই গর্জে উঠেছিল পুলিশের বন্দুক, আমি দাঁড়িয়ে সবটা দেখলাম
আব্দুল মতিন

Follow Us

ঢাকা : ঢাকার (Dhaka) বুকে অগুনতি লোকের ভিড় জমতে শুরু করেছিল সেদিন। কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, কারও হাতে স্লোগান দেওয়ার চুঙ্গো। খানিক পরেই গর্জে উঠেছিল মিলিটারির বন্দুক। গুলির শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা শহর। সেই রক্তারাঙা একুশে ফেব্রুয়ারির হাত ধরেই পরবর্তীতে সুগম হয়েছিল স্বাধীনতার পথ। শুরু থেকেই ভাষা আন্দোলনের পুরোভাগে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল কমরেড আব্দুল মতিনকে (Comrade Abdul Motin)। তিনিই জিন্নাহর চোখে চোখ রেখে প্রথম বলেছিলেন মানছি না উর্দু। ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া রাষ্ট্রীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির গুরু দায়িত্বও সামলেছেন। কিছু বছর আগে বাংলাদেশের এক টিভি চ্যানালে সাক্ষাৎকার দিতে সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

সেই সাক্ষাৎকারেই একুশের স্মৃতির পাতা উল্টে আব্দুল মতিন বলেন, “সেই সময় রাস্তার পাশে থাকা একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। আমার সামনে বসেই সেই সময় দেশের অবস্থা নিয়ে কথা বলছিলেন দুজন। একজন বলছিলেন এই অবস্থা দেখেও ছাত্ররা কেন আন্দোলন করে না। আর একজন বলছিলেন আন্দোলন করবে কী করে ওদের তো সংগঠনই নেই। তারপরই রাষ্ট্রীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ১৪৪ ধারা ভাঙার যে আন্দোলন হয়েছিল ঢাকার বুকে, সেদিনও ছাত্ররাই ছিল আন্দোলনের পুরোভাগে। পুলিশ সেদিন করাচিতে ফোন করেছে। কথা বলছে। আমি পাশে দাড়িয়ে। শুনতে পেলাম। পুলিশ কাউকে একটা জিজ্ঞাস করছে তাহলে কী গুলি করব? উত্তর এল, হ্যাঁ অফকোর্স গুলি করবে। আমি শোনা মাত্রই আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা ছাত্রদের কথাটা জানালাম। তবু ওরা বলল আমরা উঠব না। এখানেই থাকব। গুলি চলল। রক্তে ভাসল রাজপথ।”

আব্দুল মতিনের দাবি ওই দিনের ঘটনাই হিন্দোল তুলেছিল গোটা দেশে। শুরু হল ধর্মঘট। রাস্তায় নেমে এল সাধারণ মানুষ। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল গোটা দেশে। সেই সময় স্নাতকোত্তরে ইংরাজি নিয়ে পড়ছিলেন হালিমা খাতুন। এখন তাঁর বয়স বাড়লেও স্পষ্ট দেখতে পান কীভাবে সেদিন ভাষা আন্দোলনে নেত্বত দিয়েছিল সদ্য স্নাতকে ভর্তি হওয়া ওই দামাল ছেলেটা। তিনি বলেন, “ওনার আন্দোলনের জন্য, বিক্ষোভের জন্য ওনার নিজের পড়াশোনা ব্যহত হয়েছে। কারাবন্দিও হয়েছেন। তবে যত বাধাই আসুক না কেন উনি কখনও বিচলিত হননি। তাঁর অবদান ভোলবার নয়। ভোটের কারণে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ১৪৪ ধারা না ভাঙার পক্ষে সওয়াল করলেও ওনার জন্যই সেদিন ১৪৪ ধারা ভেঙে এগিয়ে যেতে পেরেছিল ছাত্ররা।”

Next Article