Kidney Smuggling: সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার ভয়ঙ্কর কাণ্ড, শহরের মধ্যেই চলছিল কিডনি পাচার, গ্রেফতার ৫

Bangladesh News: বুধবার ঢাকাতে সাংবাদিক বৈঠক করে র‌্যাবের লেফট্যান্যান্ট কর্ণেল আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, "কিডনি পাচার চক্রের প্রথম দল সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধনী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত।

Kidney Smuggling: সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার ভয়ঙ্কর কাণ্ড, শহরের মধ্যেই চলছিল কিডনি পাচার, গ্রেফতার ৫
ছবি: সংগৃহীত

| Edited By: অরিজিৎ দে

Jul 20, 2022 | 7:58 PM

ঢাকা: সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছিল কিডনি পাচার চক্র। বাংলাদেশে অবৈধঙাবে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মূল মাথা শহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠু সহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন অথাব র‌্যাব। মঙ্গলবার ভোরবেলা অভিযান চালিয়ে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব সূত্রে জানা গিয়েছে ঢাকার ভাটারা, বনশ্রী ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির সময়ে তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, মোবাইল ফোন, একাধিক ভুয়ো সিম কার্ড, ১৪টি পাসপোর্ট, কিডনি ম্যাচিংয়ের বিভিন্ন নথিপত্রে পাশাপাশি বিদেশী মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাঙ্কের চেকবুক, এটিএম কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

বুধবার ঢাকাতে সাংবাদিক বৈঠক করে র‌্যাবের লেফট্যান্যান্ট কর্ণেল আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, “কিডনি পাচার চক্রের প্রথম দল সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধনী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। অন্য দলটি গোটা দেশ গরিব মানুষদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে তাদের দেহ থেকে অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে কিডনি আদায় করে নিত। আরও একটি দল ছিল যাঁরা রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কত টাকায় কিডনি মিলবে তাঁর অঙ্ক নির্ধারণ করত।”

র‌্যাব জানিয়েছে পাচার চক্রটি কিডনির বিনিময়ে রোগী প্রতি ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দিতেন। কিডনিদাতাদের ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ২ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হত এবং কিডনি দানের পর ভয় দেখিয়ে তাদের অর্থ দেওয়া হত না। কিডনি পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।