ঢাকা : পণের দাবিতে খুন করা হল ২২ বছরের গৃহবধূ ও তাঁর দুই বছরের সন্তানকে। বাংলাদেশের গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর সরদারপাড়া গ্রামের ঘটনা। গতকাল রাতে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতের স্বামী ময়েন উদ্দিন ও শ্বশুর আবেদ আলি।
পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ময়েন ও সেই মৃত যুবতীর। সম্বন্ধ করেই দুই পরিবারের মতামত নিয়ে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ছেলেকে কিছু উপহারও দেওয়া হয়। যুবতীর চাচা জানিয়েছেন, বিয়ের সময় জামাইকে মোটরসাইকেল, সোনার গহনা ও ঘর সাজানোর বিভিন্ন আসবাবপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট ছিল না মেয়ের বরের বাড়ির লোকেরা। চাচা বলেছেন, ‘টাকার দাবিতে মাঝেমধ্যে আমার ভাতিজাকে মারধর করা হয়। জামাইয়ের পরিবারের লোকজনও ওর উপর নির্যাতন করে আসছিল।’ জানা যায়,প্রায় তিনমাস আগে যুবতীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে যুবতী বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
তারপর সম্প্রতি গণেশপুর ও শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে মধ্যস্থতায় আসেন। সালিসি সভার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুবতীকে তিন সপ্তাহ আগে ফের শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষে এই পরিণতি হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি যুবতীর মাম। এদিকে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান জানিয়েছেন যে প্রাথমিকভাবে কীটনাশক খেয়ে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ উঠে আসলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুলর পলাতক হলেও নিহতের শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Ramadan : রমজ়ান পালনে ক্রমে মুসলিমদের মধ্যে বাড়ছে অনিহা! পবিত্র মাস এখন অনেকের কাছেই ‘হারামজ়ান’