ঢাকা: দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। শুধু এপার বাংলাই নয়, ওপার বাংলাতেও অবস্থাটা একই রকম। বাংলাদেশেও বেশিরভাগ অঞ্চলেই দিনভর কাঠফাটা গরম। এরই মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ঘটে চলেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। সারাদিনের থেকে একেবারেই আলাদা থাকছে ভোরের আবহাওয়া। ভোরের ময়মনসিংহ দেখলে মনে হবে বোধহয় কুয়াশায় মোড়া শীতের সকাল। কয়েক হাত দূরেই কিছু দেখা যাচ্ছে না। রাস্তায় গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। গত দুই দিন ধরে এমনই আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে এই জেলায়। তবে, শুধু এই জেলাতেই নয়, সপ্তাহখানেক আগে কুমিল্লা, ফেনী, বাগেরহাট-সহ বাংলাদেশের আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় ভোরের দিকে এমন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। কেন এমনটা ঘটছে?
‘প্রথম আলো’ পোর্টালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাকে কুয়াশা বলে মনে হচ্ছে, সেটি আসলে এক ধরনের মেঘ। আবহাওয়াবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘লো ক্লাউড’ বা নীচু মেঘ। সাধারণত বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে গেলে এই ধরনের মেঘের সৃষ্টি হয়। এই ধরনের আবহাওয়া শুধু বাংলাদেশে নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও গত প্রায় এক দশক ধরে মাঝে মাঝেই এই ধরনের উদ্ভট আবহওয়া দেখা যাচ্ছে। ‘গ্রীষ্মকালীন কুয়াশা’ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণাও চলছে। ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সারা দিন প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে জলাশয় ও নদ-নদী থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প তৈরি হয়। বাতাসে স্বাভাবিকের তুলনায় আর্দ্রতা কম থাকায়, ওই জলীয় বাষ্প শুষে নেয় শুষ্ক বাতাস। কিন্তু, সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়তে থাকে। সারা রাত ধরে আর্দ্রতা বাড়তে বাড়তে ভোরের দিকে বাতাসে বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে যায়। ভোরে সূর্যের আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে থাকা ওই অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প কুয়াশার মতো ভাসতে থাকে। তাপমাত্রার ওঠানামা বেশি হলেই এই ধরনের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়।