ঢাকা: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় পদ্মাপারে। গ্রিড ফেলিওরের কারণে গোটা বাংলাদেশ কার্যত অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশে অন্তত ১৩ কোটি মানুষ। বাংলাদেশ সরকারের পাওয়ার ইউটিলিটি সংস্থার তরফে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কথা জানানো বয়েছে। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের মতে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টোর পর হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সংস্থার মুখপাত্র শামিম আহসান সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকা বাদে, ‘দেশের বাকি অংশ বিদ্যুৎবিহীন’।
আহসান আরও বলেন, প্রায় ১৩ কোটি বা তারও বেশি সংখ্যক মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে এই বিভ্রাটে। তবে কী কারণে এই ত্রুটিটি হয়েছে, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, “এটি এখনও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে এটিএকটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁর। বাংলাদেশের মন্ত্রী জুনাইদ পলক ফেসবুকে অবশ্য লিখেছেন, রাজধানী ঢাকায় রাত ৮টার মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা মিটে যাবে। উল্লেখ্য, ঢাকা শরহরে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের বাস।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বৈশ্বিক জ্বালানির মূল্য হু হু করে বেড়েছে। আর তার প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন দেশে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বাংলাদেশ বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত আমদানি করা ডিজেল এবং গ্যাসের জন্য অর্থের জোগান দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ক্ষোভ জমেছে ওপার বাংলার বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যেও। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সাক্ষী থাকেনি। শেষ বার বাংলাদেশে এমন বড়সড় মাপের বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে। সেই সময় বাংলাদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা আনুমানিক ১০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ব্ল্যাকআউটের ফলে বিপর্যস্ত হচ্ছে সাধারণ জনজীবনও। গোটা বাংলাদেশ যেন এক অন্ধকারের চাদরে মুড়ে গিয়েছে।