ঢাকা: সোমবার (২৪ এপ্রিল), নতুন রাষ্ট্রপতি পেল বাংলাদেশ। ৫২ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাঁর অধিনেই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই বড় পরীক্ষা দিতে হবে তাঁকে। সোমবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশেরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লিগ, সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রাক্তন বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা তথা রাজনীতিবিদ মহম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
আওয়ামি লিগের নেতারা একযোগে নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানালেও, বিএনপি-সহ অধিকাংশ বিরোধী দলই এখনও পর্যন্ত তাঁকে অভিনন্দন জানায়নি। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দাবি, নির্দল সরকারের আওতায় নির্বাচন করা হোক। আওয়ামি লিগ সরকারের ইস্তফা চায় তারা। তাই সেই সরকার কাকে রাষ্ট্রপতি করল, তা নিয়ে তাদের কোনও আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছে বিএনপি।
বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমে ৪১ দিন এবং পরে টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর ধরে রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন আবদুল হামিদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এখনও পর্যন্ত ১৭ জন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এর মধ্যে মহম্মদ আবদুল হামিদই প্রথম ব্যক্তি, যিনি পরপর দুই মেয়াদে এই পদে আসীন ছিলেন। এদিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পরে পাবনা জেলা যুবলিগের সভাপতি ছিলেন তিনি। পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তারপর যোগ দিয়েছিলেন বিচার বিভাগে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার বিচার চলাকালীন, আইন মন্ত্রণালয় তাঁকে ‘সমন্বয়কারী’ হিসেবে নিযুক্ত করেছিল। বিচারকের বিভিন্ন পদে ২৭ বছর চাকরি করেছেন তিনি। জেলা আদালতের বিচারপতি হিসেবে অবসর নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার আগে, তিনি আওয়ামি লিগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন।