Video: কানে গেল না আর্ত চিৎকার, রাস্তায় পিষে মহিলাকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল গাড়ি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 02, 2022 | 11:23 PM

Road accident in Bangladesh: ধাক্কা মারার পর, রাস্তায় পিষে মহিলাকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল গাড়ি। ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

Video: কানে গেল না আর্ত চিৎকার, রাস্তায় পিষে মহিলাকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল গাড়ি
বীভৎস দৃশ্যের সাক্ষী রইল ঢাকা

Follow Us

ঢাকা: মোটরবাইকটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছিল একটি গাড়ি। গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েছিলেন দুই আরোহী। তাঁদের একজন, রুবিনা আক্তার চাপা পড়েন ওই গাড়িটিরই নিচে। তাঁর পরণের পোশাক আটকে যায় গাড়িটির সঙ্গে। গাড়ির নিচে মহিলা আটকে থাকা অবস্থাতেই বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি ছুটে যায় প্রায় দেড় কিলোমিটার। শুক্রবার, এই বীভৎস দৃশ্যের সাক্ষী রইল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। পরে রুবিনাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন অধ্যাপক। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। তবে গণপিটুনিতে আহত হওয়ায়, বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন ঢাকার তেজগাঁও থেকে হাজারীবাগে যাচ্ছিলেন বছর ৪৫-এর রুবিনা আক্তার। মোটরবাইকটি চালাচ্ছিলেন তাঁর দেওর। অন্যদিকে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক মহম্মদ আজহার জাফর শাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা পর্ষদের সামনে টিএসসি অভিমুখী রাস্তায় আচমকা তাঁর গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল রুবিনাদের বাইকে। আর তারপরই ঘটে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা। রুবিনার দেওর ও স্থানীয় লোকজনের দাবি, তাঁরা বারবার পিছন থেকে গাড়িটি থামাতে বললেও, থামেননি ওই প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক।


ওই অবস্থায় প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা এগিয়ে যাওয়ার পর, পুলিশের একটি গাড়ি গিয়ে থামায় জাফর শাহকে। রুবিনাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক মারধর করে পঞ্চাশোর্ধ্ব জাফর শাহকে। কাজে ফাঁকি দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে তাঁর চাকরি গিয়েছিল। জনতার ব্যাপক মারে গুরুতর আহত হন তিনি। আপাতত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তাঁর। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, তিনি এখন কথা বলার মতো অবস্থাতেই নেই। একটু সুস্থ হলেই তাঁকে জেরা করা হবে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে অবশ্য শুক্রবার রাত পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিশ। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


এই দুর্ঘটনার পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপদ ক্যাম্রাসের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের একদল শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টা থেকে তাঁরা উপাচার্য মহম্মদ আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন। তাঁদের দাবি, ক্যাম্পাসে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় তাঁরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

Next Article