Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেন উপকূলে আটকে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঝলসে গেল জাহাজ

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে ছিল বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। সেই জাহাজেই রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত। মৃত্যু হয়েছে হাদিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তির।

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেন উপকূলে আটকে 'বাংলার সমৃদ্ধি', ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঝলসে গেল জাহাজ
বাংলাদেশের জাহাজে মিসাইল হামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2022 | 10:53 AM

বাংলাদেশ : সপ্তাহ খানেক পেরিয়ে গেলেও রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। একের পর এক শহরের দখল নিচ্ছে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রাজধানী কিয়েভ দখল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন বহু ভিনদেশি। এরই মধ্যে উপকূলে আটকে থাকা বাংলদেশের জাহাজে এসে পড়ল ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশির। তবে রাশিয়া না ইউক্রেন, কাদের তরফে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

জানা গিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্তিতিতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়েছিল বাংলাদেশের ওই জাহাজ। জাহাজে ২৯ জন ক্র সদস্য ছিলেন। হাদিসুর রহমান নামে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। শিপিং কর্পোরেশনের এক কর্তা সুমন মাহমুদ সাব্বির জানিয়েছেন, জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু হয় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের। জাহাজের বাকি ২৮ জন সুস্থ আছেন বলেই জানা গিয়েছে। পরে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।

‘বাংলার সমৃদ্ধি’র অন্যতম নাবিক আতিকুর রহমান সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলার কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে খবর এসেছে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রকেও। ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলার সমৃদ্ধি নামের ওই জাহাজে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়।

রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর আগে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে গিয়েছিল বাংলাদেশের ওই জাহাজ। গত ২৬ জানুয়ারি মুম্বই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলার সমৃদ্ধি। তুরস্কের একটি বন্দরে পণ্য নামানোর পর সেটি যায় ইউক্রেনে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছয় জাহাজটি। কয়েকদিন পরেই ফের পণ্য নিয়ে এটির ইতালির রোভেনা বন্দরের দিকে যাওয়াক কথা ছিল জাহাজটির। তবে পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। ইউক্রেনের বন্দর থেকে জাহাজটিতে পণ্য তোলার কথা থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা বাতিল করা হয়।

জানা গিয়েছে, জাহাজের বাকি সদস্যরা নিরাপদেই রয়েছেন। জাহাজটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও জলও রয়েছে। যুদ্ধের কারণে বর্তমানে ওলভিয়া বন্দর বন্ধ রয়েছে। হাদিসুর রহমান শেষবার বাড়িতে ফিরেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। গত সোমবারও বাড়িতে ফোন করে কথা বলেন তিনি, জানিয়েছিলেন, ভালো আছেন। হাদিসুর জাহাজের বাইরে এসে মোবাইলে কথা বলছিলেন। সেই সময় ওই ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে জাহাজটিতে। এতে দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

আরও পড়ুন: Indian Students Taken Hostage in Ukraine: নির্মমভাবে মারধরের পর এবার ইউক্রেনীয় সেনার হাতে পণবন্দি ভারতীয় পড়ুয়ারা? রাশিয়ার দাবিতে চাঞ্চল্য