ঢাকা: কোনও দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। প্রতিনিয়তই বিমানবন্দরের মাধ্যমেই অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। বিমানবন্দর দিয়েই যেমন দেশ বিদেশে যাত্রীরা আসা যাওয়া করেন, সেই কারণে নিরাপত্তার কড়াকড়িও থাকে। যেহেতু বিমানবন্দেরর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন যাত্রী দেশের প্রবেশ করেন বা দেশ থেকে বাইরে যান, সেই কারণে বিমানবন্দরগুলিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেটের বন্দোবস্ত করেছিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু উদ্বোধনের ১১ মাস পরেও সেই ই-গেট পরিষেবা চালু না হওয়া প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বিমাবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জুন মাস থেকে যেসব যাত্রীদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তার ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
বিগত বছরের ৩০ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সেই সময় সরকার জানিয়েছিল বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর যে কাজ করত, এখন থেকে ই-গেটের মাধ্যমে অনেক সহজে সেই পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় এক বছর কেটে গেলেও যাত্রীদের সেই সুবিধা মিলছিল না। কিন্তু জুন মাস থেকেই সেই পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী জানিয়েছেন।, ‘জুন মাস থেকেই বিমানবন্দরে ই-গেট পরিষেবা চালু হবে। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীর এই সুবিধা পাবেন। ফলে বিমানবন্দরে প্রবেশ বা বেরনোর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। ই-গেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব কাজ হবে, সেই কারণে চালু হতে এক বছর অতিরিক্ত সময় লেগেছে।’ এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি যাত্রীরা। তাদের মতে এখন ই-গেট চালু হলে আগেভাগে বেশি সময় হাতে নিয়ে বিমানবন্দরে আসতে হবে না।