ঢাকা: যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম বড় হাতিয়ার রেলওয়ে। রেলওয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সেই রেলওয়ে দফতরের মন্ত্রীকে সাময়িকভাবে নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশানাল বাংলাদেশ বা টিআইবি। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সেই কারণে টিআইবির তরফে শেখ হাসিনা সরকারের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজনকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টিআইবির তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এসি কামরায় ৩ জন ভ্রমণ করছিলেন। আইন মাফিক তাদের থেকে জরিমানা আদায় করেন টিকিট পরীক্ষক শফিকুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে, পাবনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঘটা এই ঘটনার পর শফিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
টিকিট পরীক্ষকের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ বলে উল্লেখ করেছিল টিআইবি। সংস্থার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে কাজের জন্য টিকিট পরীক্ষকের পুরষ্কার পাওয়ার কথা ছিল, সেই কাজে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে খারাপ বার্তা যেতে পারে সেই সম্ভাবনা থেকেই রেলমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি ‘নির্লজ্জ ও নিকৃষ্টতম’ উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে টিআইবি। সংস্থা জানিয়েছে বিনা টিকিটে ভ্রমণ আইনত অপরাধ এবং ওই টিকিট পরীক্ষক শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। রেলমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেহেতু রেলমন্ত্রীর আত্মীয়দের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই কারণে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাঁর দূরে থাকা উচিৎ। সেই কারণে রেলমন্ত্রীর সাময়িকভাবে নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।