Bangladesh News: অনলাইনে মিলছে না, ট্রেনের টিকিট কাটতে স্টেশনে থিকথিকে ভিড়, এত চাহিদা কেন জানেন?
Bangladesh Railway: স্টেশনে উপস্থিত থাকা মহিলাদের থেকে জানা গিয়েছে, স্টেশনে কোনও পাখা নেই, সেই কারণে সারারাত তাদের এই তীব্র গরমে খুব কষ্ট হয়েছে।
ঢাকা: রেল স্টেশনে (Railway Station) টিকিট কাটার এমন ভিড়ের ছবি সচরাচর চোখে পড়ে না। স্টেশনে এত ভিড় হবে তা হয়ত আন্দাজই করতে পারেনি রেলওয়ে বিভাগ। সামনেই যে ঈদ, সবথেকে বড় উৎসবের আনন্দে টগবগ করে ফুটছে বাংলাদেশ (Bangladesh) তথা রাজধানী ঢাকা (Dhaka)। ক্রমশ গরমে পারদ চড়ছে, তাতে কী, ঈদ নিয়ে উৎসাহের কোনও খামতি নেই। ঈদের অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারও রেল স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন। বাংলাদেশের কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ২৩ টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে বিভাগ। এই ২৩ টি কাউন্টারের মধ্য ২ টি কাউন্টার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। মাত্র ২ টি কাউন্টার থাকা চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি মহিলারা। ঈদের টিকিট কাটার জন্য তাদের দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে। পুরুষদের মতো মহিলারা রবিবার রাত থেকেই টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট পাওয়ার জন্য সারারাত তার স্টেশনেই কাটিয়েছে। চাদর, মাদুর পেতেই রেল স্টেশনে তারা রাত কাটিয়েছেন।
স্টেশনে উপস্থিত থাকা মহিলাদের থেকে জানা গিয়েছে, স্টেশনে কোনও পাখা নেই, সেই কারণে সারারাত তাদের এই তীব্র গরমে খুব কষ্ট হয়েছে। অনেকেই বাড়ি থেকে চেয়ার নিয়ে রেল স্টেশনে এসেছেন। এক মহিলা যাত্রী প্রথম আলো সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, “মহিলাদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকা সত্ত্বেও ভোগান্তি হচ্ছে। মহিলা কাউন্টারের আশেপাশে পুরুষরাও চলে আসছেন। রেলওয়ে কর্মীদের বলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না।” স্টেশনের উপস্থিত থাকা অনেকেরই অভিযোগ অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা থাকলেও সেখান থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে না, সেই কারণেই এখানে আসতে তারা বাধ্য হয়েছেন। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন, অনেক পুরুষ যাত্রীও। টিকিটের এই অপ্রতুলতার কারণে অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না অথবা তাদের পক্ষে দীর্ঘ সময় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার সময়ও নেই। এখন সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা হয় কিনা সেদিকেই নজর থাকবে।