লন্ডন: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ (বঙ্গানুবাদে ভারত: মোদী প্রশ্ন) নামে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র সিরিজ় তৈরি করেছে ব্রিটিশ প্রচার মাধ্যম বিবিসি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বৃহস্পতিবারই (১৯ জানুয়ারি) এই সিরিজ়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতা’র প্রতিফলন বলেনিন্দা করেছে। তারপরও, এদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই বিষয়টি তোলেন পাক বংশোদ্ভূত সাংসদ ইমরান হুসেন। তবে তাঁকে মুখের উপর জবাব দিলেন ঋষি সুনক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাফ জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর যে চরিত্রায়ন করা হচ্ছে, যে ছবি আঁকা হচ্ছে তার সঙ্গে তিনি একমত নন। বিবিসির তথ্যচিত্রকে যে ব্রিটিশ সরকারের সমর্থন করছে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইমরান হুসেন বলেন, “ব্রিটেনের বিদেশ ও কমনওয়েলথ অফিস থেকেই জানানো হয়েছিল যে এই হিংসার জন্য সরাসরি তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদি) দায়ী ছিলেন। শত শত মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এখনও ভারত ও ব্রিটেন-সহ বিশ্বজুড়ে তাদের পরিবারবর্গ ন্যায়বিচার পায়নি। প্রধানমন্ত্রী কি বিদেশ দফতরের কূটনীতিকদের সঙ্গে একমত যে মোদী সরাসরি দায়ী? জাতিগত শুদ্ধিকরণের এই গুরুতর কাজে তার জড়িত থাকার বিষয়ে বিদেশ দফতর আর কী জানে?”
এই প্রশ্নের জবাবে ঋষি সুনক বলেন, “এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট, তা বদলায়নি। অবশ্যই আমরা কোনও জায়গায় নিপীড়ন সহ্য করি না। তবে মাননীয় ভদ্রলোক (ইমরান হুসেন) যে চরিত্র (নরেন্দ্র মোদীর) তুলে ধরেছেন, তার সঙ্গে আমি মোটেও একমত নই।” ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজ়ের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন। টুইট করে তিনি বলেন, “বিবিসিনিউজ আপনারা ১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়কে আঘাত করেছেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার, ভারতীয় পুলিশ এবং ভারতীয় বিচার বিভাগকে অপমান করেছেন। আমরা দাঙ্গা ও প্রাণহানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই সঙ্গে আপনাদের পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনেরও নিন্দা জানাচ্ছি।”