Bolivia: মদ খেয়ে পড়েছিলেন ঘুমিয়ে, ভাঙতেই দেখলেন বন্দি কফিনে! পৃথিবী-মায়ের কাছে দেওয়া হয়েছে বলি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 15, 2022 | 8:45 AM

Bolivia Human Sacrifice: বলিভিয়ায় আদিবাসীদের উৎসব দেখতে গিয়ে জ্যান্ত কবরে আটকে পড়লেন পর্যটক। এখনও কি চলে নরবলি?

Bolivia: মদ খেয়ে পড়েছিলেন ঘুমিয়ে, ভাঙতেই দেখলেন বন্দি কফিনে! পৃথিবী-মায়ের কাছে দেওয়া হয়েছে বলি
আতঙ্ক যাচ্ছে না কবর থেকে উঠে আসা ভিক্টরের

Follow Us

সুক্রে: অগস্ট মাস জুড়ে বলিভিয়ার জায়গায় জায়গায় চলে ‘পাচামামা’ উৎসব বা ধরিত্রী মা-এর উৎসব। ধরিত্রী মা-কে সন্তুষ্ট করার জন্য সেই দেশের আদিবাসীরা, জীবন্ত প্রাণী এবং ভেড়ার ভ্রূণ থেকে শুরু করে ধরিত্রী দেবীর জন্য মিষ্টি এবং কোকো পাতা পর্যন্ত অনেক ধরনের নৈবেদ্য দিয়ে থাকে। এই উৎসবেরই সাক্ষী হতে চেয়ে এল আল্টো শহরে এসেছিলেন ৩০ বছরের ভিক্টর হুগো মাইকা আলভারেজ। কিন্তু, তাঁর উৎসব বদলে গিয়েছে আতঙ্কে। কারণ, তাঁকেই ধরিত্রী মায়ের কাছে উৎসর্গ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে বলিভিয়াতে ধরিত্রী মা-কে সন্তুষ্ট করার এই প্রথা চলে আসছে। সেখানকার আদিবাসীরা মনে করেন, মানবতার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদার্থ দিয়ে দিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায় পৃথিবী মা। তাই, পুরো অগস্ট মাস জুড়ে ‘পাচামামা’কে রঙিন মিষ্টি, লামার মাংস, ঔষধি গাছ, ডিম, খনিজ পদার্থের মতো বিভিন্ন জিনিস নৈবেদ্য হিসেবে উৎসর্গ করা হয়। এর আগে এই উৎসবে নরবলিও দেওয়া হতো। এখন সেই বর্বর প্রথা বন্ধ করা হলেও, কেউ কেউ দাবি করে থাকেন, এখনও এই অঞ্চলে কোথাও কোথাও পৃথিবী মায়ের কাছে মানুষকেও উৎসর্গ করা হয়। ভিক্টর হুগো মাইকা আলভারেজের দাবি, তাঁকেও কেউ বা কারা ‘পাচামামা’র কাছে উৎসর্গ করেছিল।

চলতি বছরে ‘পাচামামা’ উৎসব শুরু হয়েছিল ১ অগস্ট। আদিবাসীরা ভোরবেলা আগুন এবং নৈবেদ্য-সহ আচার অনুষ্ঠানের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। ধরিত্রী দেবীকে ধন্যবাদ জানাতে পশুর চর্বি, রঙিন কাগজ এবং মিষ্টি দিয়ে কাঠের স্তূপ পোড়ানো হয়। ভিক্টরের দাবি তার আগের দিন থেকেই পর্যটকদের ওই উৎসব প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল। আরও অনেকের মতো তিনিও সেখানে প্রবেশ করেছিলেন। ওই রাতে তিনি প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম ভেঙেছিল মাটির নিচে কফিন বন্দি অবস্থায়! তাও আবার এল আল্টো শহর থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে আচাচাচি নামে এক জায়গায়। রীতিমতো কফিন ভেঙে মুক্ত হতে হয় তাঁকে।

ভিক্টর জানিয়েছেন, মদ্যপানের পর তিনি নাচতে গিয়েছিলেন। তারপরে কী ঘটেছিল, তাঁর আর মনে নেই। তিনি ভেবেছিলেন, তার বাড়ির বিছানাতেই শুয়ে আছেন। প্রস্রাব করার জন্য উঠতে গিয়ে দেখেছিলেন নড়াচড়াই করতে পারছেন না। তারপর বুঝেছিলেন তিনি কফিন বন্দি। তবে, সৌভাগ্যবশত কফিনটিতে কাচের একটা অংশ ছিল। ধাক্কা মেরে মেরে সেই কাচ তিনি ভেঙে ফেলেছিলেন। ভাঙতেই মাটি-কংক্রিট ঢুকতে শুরু করেছিল। যাইহোক, কফিন থেকে মুক্ত হয়ে তিনি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও, তারা ভিক্টরের কথা বিশ্বাসই করেনি বলে অভিযোগ। তারা বলে, ভিক্টর খুব বেশি মদ্যপান করেছিলেন বলে তাঁর ধারণা হয়েছিল যে তাঁকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে।

ভিক্টরের অবশ্য দাবি, কফিনের কাচ ভাঙতে গিয়ে তার পুরো হাতেই আঘাত লেগেছিল। সেই চিহ্নও তার হাতে ছিল। সেই টাটকা আঘাতের চিহ্ন দেখেও ভিক্টরের কথা বিশ্বাস করেনি পুলিশ। মাতাল পর্যটক বলে তার কথা উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এমনকি, তাকে বলা হয় নেশা কেটে গেলেই তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে ভিক্টরের আতঙ্ক যাচ্ছে না। নিজের দাবিতে তিনি স্থির, পৃথিবী মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাঁকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল।

Next Article