AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Canada Witch: হরিণের মৃতদেহ খাচ্ছে অর্ধনগ্ন দুই মহিলা, অন্ধকারে ওরা কারা?

Canada witch eat deer carcass: ধরুন, আপনার বাড়ির পিছনের বাগানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তাতে ধরা ফুটেজে দেখতে পেলেন দুই অর্ধনগ্ন মহিলা বসে একটি মৃত হরিণের শব খাচ্ছে? ঠিক এই রকমই ঘটেছে কানাডার এক মহিলার সঙ্গে।

Canada Witch: হরিণের মৃতদেহ খাচ্ছে অর্ধনগ্ন দুই মহিলা, অন্ধকারে ওরা কারা?
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2023 | 7:11 AM
Share

ব্রিটিশ কলম্বিয়া: ধরুন, আপনার বাড়ির পিছনের বাগানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তাতে ধরা ফুটেজে দেখতে পেলেন দুই অর্ধনগ্ন মহিলা বসে একটি মৃত হরিণের শব খাচ্ছে? ঠিক এই রকমই ঘটেছে কানাডার এক মহিলার সঙ্গে। তাঁর দাবি, তাঁর বাড়ির বাগানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজে এই উদ্ভট ছবি ধরা পড়েছে। তাঁর অনুমান, ওই দুই মহিলা হলেন ‘ডাইনি’ অথবা তন্ত্রসাধিকা। নাহলে পশুর পচা-গলা মৃতদেহ খেতে যাবেন কেন? কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পাওয়েল রিভার এলাকায় থাকেন কোরিনিয়া স্ট্যানহপ। ৩৬ বছরের কোরিনিয়া পেশায় একজন নার্স হলেও, প্রকৃতি প্রেমী। তাঁর বাড়ির পিছনেই একটি বড় বাগান আছে, আর তার পাশেই জঙ্গল। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি তাঁর বাগানে একটি হরিণের মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিলেন। সেটি বাগান থেকে না সরিয়ে কোরিনিয়া আর তাঁর দাদু সেখানেই রেখে দিয়েছিলেন। আর, মৃতদেহটির পাশেই একটি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, কোনও বন্যপ্রাণী যদি মৃত হরিণটিকে খেতে আসে, তার ছবি তোলা।

কোরিনিয়া জানিয়েছেন, প্রথমদিন তাঁদের লাগানো ক্যামেরায় একটি বনবিড়াল ধরা পড়েছিল। সেই ছবি দেখে, প্রকৃতিপ্রেমী নাতনি আর তাঁর ৭৬ বছরের দাদু অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু পরদিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে কোরিনিয়া দেখেছিলেন, তাঁর দাদু অত্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়েছেন। দাদু তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, সেইদিন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে উর্ধাঙ্গ অনাবৃত দুই মহিলার ছবি। তাঁদের বাগানে বসে হরিণটির পচা শব খাচ্ছিল তারা। কোরিনিয়া প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি। কিন্তু, ফুটেজটি দেখে তিনিও ভয় পেয়ে যান।

ক্যামেরায় ধরা পড়েছে উর্ধাঙ্গ অনাবৃত দুই মহিলা হরিণটির পচা শব খাচ্ছে

কোরিনিয়া বলেছেন, “আমি জানি না ওরা কী করছিল। তবে আমরা ভিডিয়োটি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলম। এরকম তো রোজ রোজ ঘটে না। ওরা সত্যিই মাংস খাচ্ছিল কিনা, নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না। তবে হরিণের খুরের অংশটা ওরা মুখের খুব কাছে এনেছিল। জানি না, হয়ত ওরা সেটাতে চুমু খাচ্ছিল, কিংবা গন্ধ শুঁকছিল। তবে আমার মনে হয়েছে ওরা হরিণের কাঁচা মাংস খাচ্ছিল। এমন কোনও পচা মৃতদেহ ছোঁয়ার কথা ভাবলেই আমার অসুস্থ লাগে। যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া ওর মধ্যে রয়েছে!

‘হয়ত ওরা সেটাতে চুমু খাচ্ছিল, কিংবা গন্ধ শুঁকছিল, তবে আমার মনে হয়েছে ওরা খাচ্ছিল’

সূর্যাস্তের প্রায় ১০ মিনিট পরে ওই দুই অর্ধনগ্ন মহিলা তাদের বাগানে এসেছিল বলে জানিয়েছেন কোরিনিয়া। তারা পরচুলা পরা ছিল বলে মনে করেন তিনি। হরিণের মাংস না খেলেও তারা যে ডাইনিবিদ্যা কিংবা তন্ত্রমন্ত্রের সাধনা করে, এই বিষয়ে নিশ্চিত তিনি। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেখানটা তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র দুই মিনিটের হাঁটাপথ। তাই এখন তিনি বেশ ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটি ঘোড়া আছে। প্রায়ই রাত্রিবেলা ঘোড়াগুলি ভয় ও অস্বস্তিতে প্রকাশ করে। এতদিন কোরিনিয়া পাত্তা দেননি। কিন্তু, এখন ভয় পাচ্ছেন। রাতের অন্ধকারে কি এর আগেও তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে দুই ‘ডাইনি’?