ওডিশা : রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুশোক এখন বাকিংহাম প্যালেস জুড়ে। তারই মধ্যে রীতি মেনে রাজ সিংহাসনে বসলেন চার্লস। যুবরাজ থেকে রাজা হলেন তৃতীয় চার্লস। ৭৩ বছর বয়সের নতুন রাজা কেমন হবেন? তা জানতে যখন ব্রিটেনবাসী উৎসুক, তখন রাজার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হল ওড়িশার এক গ্রামে। স্থানীয় মন্দিরে গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে পুজোর আয়োজন করেন।
orissapost-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রায় চার দশক আগে ভারতের ওই গ্রামে এসেছিলেন চার্লস। রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হরিপুর গ্রামে এসেছিলেন তিনি। সেই গ্রামেই শনিবার পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের গোপীনাথ মন্দিরে পুজো হয় ওই দিন। অনেকেই এসে কিং চার্লসের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে যখন চার্লস এসেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩২। গ্রামের জীবন কেমন হয়, তা অনুভব করতেই হরিপুরে বেশ কিছুদিন কাটিয়েছিলেন তিনি।
সেই সময় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জানকী বল্লভ পট্টনায়ক। যুবরাজের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। গ্রামে ঘুরে ডাবের জল খেয়েছিলেন চার্লস, দেখেছিলেন, কী ভাবে নারকেল পাড়া হয়, কী ভাবে মাঠে চলে কৃষিকাজ। গ্রামেরই এক বৃদ্ধ সঞ্জয় পতি, সে কথা আজও মনে করতে পারেন। চিত্তরঞ্জন পাণ্ডা নামে আর এক ব্যক্তি জানান, চার্লস যখন এসেছিলেন, তাঁর বয়স তখন ১২। তিনি যে ভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছিলেন, গ্রামে ঘুরে কথা বলেছিলেন, তা ভুলতে পারেননি গ্রামের সেই সব মানুষ। সেই কারণেই চার্লসের সিংহাসন প্রাপ্তিতে তাঁরা রীতিমতো খুশি। তাই এই প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে চার্লসকে। শুধু ব্রিটেন নয়, মোট ১৪ টি কমনওয়েলথ দেশেরও রাজা হলেন চার্লস। লন্ডনের সেন্ট জেমস প্রাসাদে সেই অনুষ্ঠান হয়। এতদিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস। এবার সেই উপাধি পেলেন যুবরাজ উইলিয়াম।