বেজিং : চিনা স্পাই বেলুনকে (Spy Baloon) কেন্দ্র করে আমেরিকা (America) ও চিনের (China) মধ্য়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। কিছুদিন আগেই আমেরিকার আকাশে চিনা স্পাই বেলুন দেখা গিয়েছে। সেই বেলুন মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আমেরিকার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সেদেশের উপর নজর রাখছে আমেরিকা। আমেরিকা ছাড়া কানাডার আকাশেও এরকম স্পাই বেলুনের দেখা মিলেছে। সোমবার চিন জানিয়েছে, আমেরিকার স্পাই বেলুন কোনও অনুমতি ছাড়াই অনেকবার চিনের আকাশে উড়েছে। ২০২২ সালের শুরুর দিক থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১০ বারের বেশি আমেরিকার বেলুন দেখা গিয়েছে।
আজ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিক সম্মেলনের সময় এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেলুন সংশ্লিষ্ট চিনা বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চিনের আকাশসীমায় দশবারেরও বেশি সময় ধরে দেখা গিয়েছে।” তবে কী গুপ্তচরবৃত্তি নাকি এর পিছনে কোনও সামরিক উদ্দেশ্য রয়েছে সেই বিষয়ে কিছু বিস্তারিত জানাননি ওয়াং।
তবে এই বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনওরকম মন্তব্য করেনি। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে আমেরিকা ও কানাডার আকাশে চারবার এরকম স্পাই বেলুন দেখা গিয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনার উপরে একটি স্পাই বেলুন ধ্বংস করে আমেরিকা। এদিকে স্পাই বেলুন ঘিরে দু’দেশের মধ্যে চাপানউতোরের ফলেই মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বেজিং সফর বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে চিনের তরফে জানানো হয়েছিল, আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার জন্য এই বেলুন আকাশে পাঠানো হয়েছে। তারপর তা ভুলবশত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন সামরিক বাহিনী উত্তর আমেরিকার কাছে বেলুনের মতো মোট তিনটি উড়ন্ত বস্তুকে ধ্বংস করেছে।