China Gold Reserve: সোনার পাহাড়ের খোঁজটা পেয়েই গেল চিন, গোটা বিশ্বে এবার ছড়ি ঘোরাবে?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 09, 2024 | 6:31 PM

China: চিনের হুনান প্রদেশে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির হদিশ। এতদিন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোনার খনি। সেখানে মজুত সোনার পরিমাণ প্রায় ৯০০ টন। চিনের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের দাবি, হুনান প্রদেশে মাটির নীচে হাজার টনেরও বেশি সোনা আছে।

Follow Us

বেজিং: সময় ভাল যাচ্ছিল না শি জিনপিংয়ের। কারণ, গত কয়েকবছর ধরেই চিনের অর্থনীতি মার খাচ্ছে। জিডিপি পড়ছে। ডলারের তুলনায় চিনা মুদ্রা ইউয়ানের দাম কমছে। বিদেশি সংস্থাগুলো চিন থেকে কারখানা গুটিয়ে নিচ্ছে। চিনে আবাসন শিল্পে নেমে এসেছে চরম সঙ্কট। এদিকে, আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখতে চলেছেন। চিন নিয়ে বরাবরই যিনি চটা। ফলে কখন যে কী ঘটে যায়, কিচ্ছু বলা যায় না। আর ঠিক তখনই লেগে গেল লটারি।

দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যখন খারাপ, তখনও একটা জায়গায় জিনপিং জলের মতো খরচ করে যাচ্ছিলেন। সেটা হল, দেশে কোথায় কোথায় কী কী খনিজ সম্পদ পাওয়া যেতে পারে, তার খোঁজ। গতবছর শুধু এই খাতেই চিন প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। যা দেখে অনেকেই বলছিলেন, এতো প্রায় লটারি কাটার মতো ব্যাপার। নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে সেই লটারিই লাগিয়ে দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। একেবারে জ্যাকপট।

চিনের হুনান প্রদেশে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির হদিশ। এতদিন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোনার খনি। সেখানে মজুত সোনার পরিমাণ প্রায় ৯০০ টন। চিনের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের দাবি, হুনান প্রদেশে মাটির নীচে হাজার টনেরও বেশি সোনা আছে।

এইবারে প্রশ্ন হল, এখান থেকে সোনা তোলার কাজটা কি অর্থনৈতিক দিক থেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে? কারণ মাটির নীচে এমন বহু খনিজ সম্পদের হদিশ মানুষ জানলেও সব জায়গায় খনি খোঁড়া হয় না। এর দুটো কারণ। এক, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা। দুই, খনিজ পদার্থের মূল্যের চেয়ে সেগুলো তুলে আনার খরচ বেশি হয়ে যাওয়া।

চিন জানিয়েছে এক্ষেত্রে তাদের কোনও সমস্যা নেই। প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি ডলার মূল্যের সোনা আছে মাটির মাত্র ২ কিলোমিটার নীচে। রয়েছে চল্লিশটা গোল্ড ভেন বা স্বর্ণশিরা। এক সময়ে মাটির নীচে গলিত তরল সোনার স্রোত ছুটে চলতো। পরে, সেগুলোই জমাট বেঁধে স্বর্ণশিরায় পরিণত হয়েছে। ফলে, এই সোনা তুলনায় অনেক খাঁটি আর তুলে আনাও সহজ।

চিনা বৈজ্ঞানিকদের কথায় শুধুমাত্র স্বর্ণ শিরা থেকেই ৩০০ মেট্রিক টন সোনা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া পাথরের মধ্যেও রয়েছে সোনা। এক টন পাথর থেকে যদি আট গ্রাম সোনা পাওয়া যায়, তাহলে গোটা দুনিয়ায় সেটাকেই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। সেখানে চিনের দাবি, হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টিতে এক টন পাথর থেকে নাকি ১৩০ গ্রামের বেশি সোনা পাওয়া যাবে।

সারা বিশ্বের সোনার বাজারের ১০ শতাংশ এখন চিনের দখলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন খনি থেকে সোনা উঠতে শুরু করলে তা এক লাফে বহুগুণ বেড়ে যাবে। চিনের অর্থনীতির স্বাস্থ্যও ফিরবে। ফলে জিনপিং স্বস্তি বোধ করতেই পারেন। আর উচ্ছ্বাস চাপতে না পেরে কমিউনিস্ট পার্টির বড়কর্তারা বলছেন তাঁদের দেশের বিজ্ঞানীরা আস্ত একটা এল ডোরাডোই খুঁজে বের করে ফেলেছেন।

বেজিং: সময় ভাল যাচ্ছিল না শি জিনপিংয়ের। কারণ, গত কয়েকবছর ধরেই চিনের অর্থনীতি মার খাচ্ছে। জিডিপি পড়ছে। ডলারের তুলনায় চিনা মুদ্রা ইউয়ানের দাম কমছে। বিদেশি সংস্থাগুলো চিন থেকে কারখানা গুটিয়ে নিচ্ছে। চিনে আবাসন শিল্পে নেমে এসেছে চরম সঙ্কট। এদিকে, আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখতে চলেছেন। চিন নিয়ে বরাবরই যিনি চটা। ফলে কখন যে কী ঘটে যায়, কিচ্ছু বলা যায় না। আর ঠিক তখনই লেগে গেল লটারি।

দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যখন খারাপ, তখনও একটা জায়গায় জিনপিং জলের মতো খরচ করে যাচ্ছিলেন। সেটা হল, দেশে কোথায় কোথায় কী কী খনিজ সম্পদ পাওয়া যেতে পারে, তার খোঁজ। গতবছর শুধু এই খাতেই চিন প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। যা দেখে অনেকেই বলছিলেন, এতো প্রায় লটারি কাটার মতো ব্যাপার। নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে সেই লটারিই লাগিয়ে দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। একেবারে জ্যাকপট।

চিনের হুনান প্রদেশে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির হদিশ। এতদিন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোনার খনি। সেখানে মজুত সোনার পরিমাণ প্রায় ৯০০ টন। চিনের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের দাবি, হুনান প্রদেশে মাটির নীচে হাজার টনেরও বেশি সোনা আছে।

এইবারে প্রশ্ন হল, এখান থেকে সোনা তোলার কাজটা কি অর্থনৈতিক দিক থেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে? কারণ মাটির নীচে এমন বহু খনিজ সম্পদের হদিশ মানুষ জানলেও সব জায়গায় খনি খোঁড়া হয় না। এর দুটো কারণ। এক, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা। দুই, খনিজ পদার্থের মূল্যের চেয়ে সেগুলো তুলে আনার খরচ বেশি হয়ে যাওয়া।

চিন জানিয়েছে এক্ষেত্রে তাদের কোনও সমস্যা নেই। প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি ডলার মূল্যের সোনা আছে মাটির মাত্র ২ কিলোমিটার নীচে। রয়েছে চল্লিশটা গোল্ড ভেন বা স্বর্ণশিরা। এক সময়ে মাটির নীচে গলিত তরল সোনার স্রোত ছুটে চলতো। পরে, সেগুলোই জমাট বেঁধে স্বর্ণশিরায় পরিণত হয়েছে। ফলে, এই সোনা তুলনায় অনেক খাঁটি আর তুলে আনাও সহজ।

চিনা বৈজ্ঞানিকদের কথায় শুধুমাত্র স্বর্ণ শিরা থেকেই ৩০০ মেট্রিক টন সোনা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া পাথরের মধ্যেও রয়েছে সোনা। এক টন পাথর থেকে যদি আট গ্রাম সোনা পাওয়া যায়, তাহলে গোটা দুনিয়ায় সেটাকেই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। সেখানে চিনের দাবি, হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টিতে এক টন পাথর থেকে নাকি ১৩০ গ্রামের বেশি সোনা পাওয়া যাবে।

সারা বিশ্বের সোনার বাজারের ১০ শতাংশ এখন চিনের দখলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন খনি থেকে সোনা উঠতে শুরু করলে তা এক লাফে বহুগুণ বেড়ে যাবে। চিনের অর্থনীতির স্বাস্থ্যও ফিরবে। ফলে জিনপিং স্বস্তি বোধ করতেই পারেন। আর উচ্ছ্বাস চাপতে না পেরে কমিউনিস্ট পার্টির বড়কর্তারা বলছেন তাঁদের দেশের বিজ্ঞানীরা আস্ত একটা এল ডোরাডোই খুঁজে বের করে ফেলেছেন।

Next Article