Proverty in China: বিশ্বের কাছে কীভাবে গরিবি লোকাচ্ছে চিন, তুলে ধরল আমেরিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 07, 2023 | 2:02 PM

ডিলিট করে দেওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এখ অবসরপ্রাপ্ত মহিলা মুদিখানা দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলা ১০০ ইউয়ান বা ১৪.৫০ ডলারের জিনিস কিনতে পারেননি। এক চিনা গায়কের গানেও সম্প্রতি ব্যঙ্গাত্মক ভাবে উঠে এসেছিল সে দেশের একাংশের মানুষের গরিবি অবস্থায় কথা।

Proverty in China: বিশ্বের কাছে কীভাবে গরিবি লোকাচ্ছে চিন, তুলে ধরল আমেরিকা
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপং।

Follow Us

নয়াদিল্লি: গত কয়েক দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে চিন। কিন্তু অর্থনৈতিক দিক থেকেও রীতিমতো আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বেজিং। কিন্তু গরিবি থেকে কী পুরোপুরি মুক্ত হতে পেরেছে সে দেশ? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় সে প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়ো ডিলিট করে দিয়েছে চিন। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসে। কিন্তু নিজের দেশের প্রান্তিক মানুষের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্বের সামনে ধামাচাপা দিতে চায় চিন। এই অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। সম্প্রতি ওই ভাইরাল ভিডিয়ো চিন ডিলিট করতে বাধ্য করায় সেই প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে।

ডিলিট করে দেওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এখ অবসরপ্রাপ্ত মহিলা মুদিখানা দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলা ১০০ ইউয়ান বা ১৪.৫০ ডলারের জিনিস কিনতে পারেননি। এক চিনা গায়কের গানেও সম্প্রতি ব্যঙ্গাত্মক ভাবে উঠে এসেছিল সে দেশের একাংশের মানুষের গরিবি অবস্থায় কথা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে সেই গানের কথায় লেখা ছিল, “আমি রোজ মুখ ধুই, কিন্তু আমার পকেট আমার মুখের থেকেও পরিষ্কার।” ওই গানে অপর এক লাইনে লেখা হয়েছিল, “আমি কলেজ যাই চিনকে পুনরুজ্জীবিত করতে, খাবার জোগান করতে নয়।” যদিও এই গানও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরাতে বাধ্য করে চিন।

গরিবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিন জিতে গিয়েছে, তা প্রচার করতে বদ্ধ পরিকর বেজিং প্রশাসন। চিন সারা বিশ্বের কাছে নিজের সমৃদ্ধির কথা প্রচার করতে চায়। ২০২১ সালে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গরিবি নিয়ে বলেছিলেন, “গরিবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় পেয়েছে আমরা।” কিন্তু মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন বলছে, এখনও চিনের প্রচুর মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন বা দ্রারিদ্র সীমার আশপাশে রয়েছেন। এই গরিবির জেরে চিনের একাংশের বাসিন্দাদের ভবিষ্যতও প্রশ্নের মুখে রয়েছে। এমনকি ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বৃদ্ধ মানুষদের দুঃখ, বিকলাঙ্গ এবং শিশুদের কোনও ধরনের দুঃখের ভিডিয়ো প্রকাশ করতে দেয় না চিন। সাধারণের উপর এ ব্যাপারে চিনা প্রশাসনের কড়া নজরদারির বিষয়টি নিয়েও উল্লেখিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।

Next Article