China: ছেলেকে টানা ১৭ ঘণ্টা গেম খেলতে বাধ্য করলেন বাবা; হড়হড়িয়ে হয়ে গেল বমি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Mar 20, 2023 | 5:41 PM

Man forces 11-Year-Old son to play video games for 17 hours: খেলত খেলতে ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে ডেকে দিয়েছেন বাবা। শেষে যা অবস্থা হল। চিনের

China: ছেলেকে টানা ১৭ ঘণ্টা গেম খেলতে বাধ্য করলেন বাবা; হড়হড়িয়ে হয়ে গেল বমি
প্রতীকী ছবি

Follow Us

বেজিং: রাত একটার পরও, রাত জেগে মোবাইলে গেম খেলছিল ছেলে। হাতে নাতে ধরে ফেললেন বাবা। আর তারপর তার বাবা দিলেন অভিনব শাস্তি। না, কোনও মারধর বা বকাঝকা করা নয়। সন্তানকে একটানা ১৭ ঘণ্টা গেম খেলতে বাধ্য করলেন তিনি। যতক্ষণ না পর্যন্ত বমি করে ফেলে, ততক্ষণ পর্যন্ত না ঘুমিয়ে, না কোনও বিরতি নিয়ে ছেলেকে গেম খেলতে হয়েছে। বাবার কাছে বারংবার ক্ষমা চেয়েও লাভ হয়নি। ছেলেকে অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে চোখ রাখলে কী হয়, সেই শিক্ষা দিতে অনড় ছিলেন হুয়াং। আর তার জন্যই এই নিষ্ঠুর শাস্তি।

জানা গিয়েছে হুয়াংদের বাড়ি চিনের শেনঝেন প্রদেশে। রাতে ছেলেকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ১১ বছরের ছেলেটিকে গ্রাস করেছে মোবাইল গেমের নেশা। বাবা-মাকে লুকিয়ে রাত্রিবেলা বিছানায় শুয়ে শুয়ে গেম খেলছিল সে। রাত দেড়টা নাগাদ এসে ছেলেকে গেম খেলতে দেখে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন হুয়াং। ভয় পেয়ে গিয়ে বাবার কাছে ক্ষমা চায় হুয়াংয়ের ছেলে। কিন্তু, হুয়াং ততক্ষণে ঠিক করে নিয়েছেন, ছেলেকে অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনে চোখ রাখলে কী সমস্যা হতে পারে, তা তিনি বুঝিয়েই ছাড়বেন। তাই ছেলেকে কঠিন শাস্তি দেন তিনি।

চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় হুয়াং-এর ১১ বছরের ছেলেটি ক্ষমা চেয়ে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছে। সে জানিয়েছে, রাত ১টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, একটানা ১৭ ঘণ্টা তাকে গেম খেলতে হয়েছে। মাঝে মাঝে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু বাবা তাকে ডেকে দিয়েছে। এইভাবে খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে তাঁর বমি হওয়া শুরু হয়। সে কেঁদে ফেলে এবং বাবাকে জানায় আর রাত জেগে সে গেম খেলবে না। অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়বে। সে এই বিষয়ে সম্মত হওয়ার পরই তার সাজা থেমেছে।

এদিকে, হুয়াং-এর এই শাস্তি দেওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। একাংশ বলছে, বর্তমানে গেমের নেশা যেভাবে শিশুমনকে প্রভাবিত করছে, তাতে গেম খেলা প্রতিরোধে এই ধরনের শাস্তি দেওয়াই উচিত হয়েছে। ” আর অপর অংশ প্রশ্ন তুলেছে কোনও শিশুকে এত কঠোর শাস্তি দেওয়া কি ঠিক?

Next Article