COVID-19: লাখ ছাড়াচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, জিনপিংয়ে মুখে তবুও ‘আশার আলো’

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 01, 2023 | 12:01 PM

Xi Jinping: শনিবার চিনের জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, "মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ  নতুুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করছে।"

COVID-19: লাখ ছাড়াচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, জিনপিংয়ে মুখে তবুও আশার আলো
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি:PTI

Follow Us

বেজিং: নতুন বছরেও পিছু ছাড়ছে না করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। চিনে (China) ক্রমাগত বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-র (BF.7 Sub Variant) কারণেই এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে চিনের প্রশাসন। এতদিন জিরো কোভিড নীতি কার্যকর থাকায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সম্প্রতিই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখানোয় সেই নিয়ম প্রত্য়াহার করতে হয়েছে। আর তারপর থেকেই হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাবুডুবু খেলেও এখনও আশা ছাড়তে নারাজ সে দেশের প্রেসিডেন্ট। শনিবার রাতে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সামনেই আশার আলো রয়েছে।”

চিনে জিরো কোভিড নীতি প্রত্য়াহার করতেই হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চিনে কম টিকাকরণের হার এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকার কম কার্যকারীতার কারণেও সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা। সংক্রমণ রুখতে চিনের প্রধান হাতিয়ার ছিল জিরো কোভিড নীতি। সেই নীতিও প্রত্যাহার করতে হয়েছে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। লকডাউন, কোয়ারেন্টাইনের নীতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। যাতায়াতের উপরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে নিত্যদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতালগুলিতে বেহাল দশা, সেখানে উপচে পড়ছে করোনা রোগী। ওষুধের দোকানগুলিতেও জ্বরের ওষুধের আকাল দেখা গিয়েছে। দেহ উপচে পড়ছে শশ্মানগুলিতে। অনেক হাসপাতালে রোগীকে জায়গা দিতে না পেরে, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সোজা শশ্মানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, চিনের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে তারা আর করোনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে না।

শনিবার চিনের জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ  নতুুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। সকলে নিরন্তর পরিশ্রম করছেন।আশার আলো আমাদের সামনেই রয়েছে।” করোনা মোকাবিলায় ও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় প্রশাসনের তরফে যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এদিকে, শনিবারই চিনে নতুন করে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও প্রশাসনের এই নথির সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির বিস্তর ফারাক রয়েছে বলেই দাবি বাকি বিশ্বের।

Next Article