বেজিং: হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল। এবার সত্যিই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করল চিন। বারণ সত্ত্বেও তাইওয়ান সফরে যাওয়ায় মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হল চিন। বুধবারই চিনের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানের থেকে তারা ফল ও মাছ আমদানি কমিয়ে দেবে। চিন থেকে যে বালি পাঠানোর কথা ছিল, তাও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার রাতেই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র ভিক্টর গাও জানান, মার্কিন সেনেটর ন্যান্সি পেলোসি ও তাঁর পরিবারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। পেলোসির তাইওয়ান সফর চিন ও আমেরিকার মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বলেই অভিযোগ কমিউনিস্ট পার্টির।
মার্কিন সেনেটর তথা স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির একদিনের তাইওয়ান সফর নিয়েই বেজায় চটে চিন। বিগত ২৫ বছরে এই প্রথম কোনও মার্কিন শীর্ষ আধিকারিক তাইওয়ান সফরে এলেন। পেলোসি যাতে এই সফরে না আসেন, তা নিয়ে বারংবার সতর্ক ও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই তাইওয়ানে যান এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন মার্কিন স্পিকার। এতেই আরও চটেছে চিন। আপাতত প্রাকৃতিক বালি সরবরাহ বন্ধ রেখে ও তাইওয়ান থেকে ফল ও মাছ আমদানি কমিয়েই শিক্ষা দিতে চাইছে চিন।
এদিকে, পেলোসির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র ভিক্টর গাও বলেন, “ওনার পদ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার হলেও, এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে ন্য়ান্সি পেলোসি মার্কিন আধিকারিকদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ পদাধীকারী। চিনের দৃষ্টিভঙ্গিতে এত বড় পদাধীকারী কোনও আধিকারিককে তাইওয়ান সফরের অনুমতি দেওয়া যায় না। এতে বড় বিতর্ক হবেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা চিনের বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। তাদের এর ফল ভোগ করতেই হবে। আগামী সময়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে বনিবনা করে চলতে আরও সমস্যা হবে, কারণ ন্যান্সি পেলোসি দুই দেশের মধ্যে থাকা পারস্পরিক বিশ্বাস ভেঙেছে।”
অন্যদিকে, মার্কিন স্পিকারের সফরের বিরোধিতা করে চিনের পাশে আগেই দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এবার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে আখ্যা দিলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।