চাঁদের মাটিতে চিনের পতাকা, চন্দ্রযানের সাফল্যে মুগ্ধ বেজিং

tista roychowdhury |

Dec 05, 2020 | 8:28 PM

চাঁদের যে এলাকা ঝঞ্ঝাপ্রবণ সেই ‘ওসিয়ান অব স্টর্মস’ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করবে এই চন্দ্রযান। পাশাপাশি,চাঁদের দক্ষিণমেরুতেও যেখানে আলো পৌঁছয় না সেখানেও রোবটিক স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করেছে চিন। আগামী ১০ বছরেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে এগোবে তারা।

চাঁদের মাটিতে চিনের পতাকা, চন্দ্রযানের সাফল্যে মুগ্ধ বেজিং
চাঁদের মাটিতে চ্যাংই৫, চিনের মুকুটে নয়া পালক, ইনসেটে- চ্যাংই৫. নিজস্ব চিত্র

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল : করোনা আতঙ্কে কোণঠাসা হওয়ার পরেও চাঁদের মাটিতে ঝান্ডা গাড়ল চিন(China)। চাঁদের মাটি ছুঁল চিনের(China) মহাকাশযান চ্যাং-ই ৫(Chang E5)। চাঁদের মাটি খুঁড়ে নুড়ি-পাথর সংগ্রহ করার কাজ করবে এটি। যদিও, এই মহাকাশযানে কোনও মহাকাশচারী থাকছেন না। চিনের(China) স্পেস ইনস্টিটিউশনের দাবি, এই চন্দ্রাভিযান সফল হলে গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথম কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই শুধু যন্ত্রের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের কাজে সফল হবে চিন।

৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, চিনের ওয়াংচ্যাও স্পেস লঞ্চার থেকে দুপুর ৩.১০ মিনিটে সফল ভাবে উড়ে যায় চ্যা-ই ৫। চিনের পৌরাণিক চন্দ্রদেবতার নাম অনুযায়ী, চন্দ্রযানটির নাম রাখা হয়েছে চ্যাং-ই৫। ইতিমধ্যেই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর দুটি রোবটিক যন্ত্রের অবতরণ করতে সফল হয়েছে চ্যাং-ই৫।

আরও পড়ুন : করোনার ভয়ে মধ্যরাতের ক্রিসমাস সেলিব্রেশন নিষিদ্ধ, জানাল ইটালির স্বাস্থ্য দফতর

সম্পূর্ণ রেডিয়ো প্রযুক্তিতে নিয়ন্ত্রিত চ্যাং-ই৫-এর দুই রোবটিকের একটি মাটি খুঁড়বে এবং অন্যটি নমুনা সংগ্রহ করে কক্ষপথে দাঁড়িয়ে থাকা চন্দ্রযানে পাঠাবে। সেই নমুনা চন্দ্রযান মারফৎ পৃথিবীতে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, চাঁদে আধিপাত্য কায়েম করতে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে চিরাচরিত লড়াই দেখেছে বিশ্ব। ১৯৫৮ সাল থেকেই শুরু হয় চাঁদ সফর। প্রথম সফলভাবে যান পাঠাতে সক্ষম হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন(Russia)। সালটা ১৯৫৯। আর প্রথম মানুষ চাঁদে পদার্পণ করে ১৯৬৯ সালে। মার্কিন মহাকাশ অ্যাপেলো ১১-এ চড়ে চাঁদে গিয়েছিলেন ৩ নভশ্চর নেইল আর্মস্ট্রং, বাজ় অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। কিন্তু, চিনের ইতিহাসে এমন কোনও মুকুট নেই। সেখানে রাশিয়ার(Russia) সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চ্যা-ই৫ চিনের একান্ত একক সাফল্য।

চিনের স্টেট ব্রডকাস্টারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে যায় যানটি। ফিরে আসার সময় চিনের পতাকা উড়িয়ে নিয়ে আসবে যানটি এমনটাই দাবি চিনের মহাকাশসংস্থার। চ্যাং-ই৫ নিয়ে আশাবাদী খোদ জিনপিং সরকারও।

সূত্রের খবর, চাঁদের যে এলাকা ঝঞ্ঝাপ্রবণ সেই ‘ওসিয়ান অব স্টর্মস’ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করবে এই চন্দ্রযান। পাশাপাশি,চাঁদের দক্ষিণমেরুতেও যেখানে আলো পৌঁছয় না সেখানেও রোবটিক স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করেছে চিন। আগামী ১০ বছরেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে এগোবে তারা।

চিনের এই চন্দ্রযান অভিযান বেজিংয়ের কাছে স্বপ্নপূরণ। করোনা অতিমারীতে যেভাবে কোণঠাসা হয়েছিল চিন তাতে এই সাফল্য কিছুটা হলেও মুক্তি দেবে এমনটাই দাবি চিনের কূটনৈতিক মহলের।

 

Next Article