বেজিং: আমেরিকার উপরে নজরদারি নয়, আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক কাজের জন্যই ওড়ানো হয়েছিল ‘রহস্যজনক’ বেলুন (Balloon)। আমেরিকার (USA) আকাশে চিনের (China) সন্দেহজনক বেলুনের গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরই এমনটা সাফাই দিল শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনের তরফে জানানো হল, আকাশে ওড়া ওই রহস্যজনক বস্তু বেলুন নয়, বরং এয়ারশিপ (Airship)। তাদের দাবি, আমেরিকার উপরে নজরদারি করার উদ্দেশ্যে নয়, আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক কাজের জন্যই ওই এয়ারশিপটিকে আকাশে পাঠানো হয়েছিল। ভুলবশত সেটি আমেরিকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। এর জন্য চিন ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই পেন্টাগনের তরফে বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়, আমেরিকার আকাশে চিনের স্পাই বেলুন দেখা গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বেলুনটি আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতিই মন্টানায় ওই বেলুনটিকে দেখা যায়। মন্টানাতেই রয়েছে ম্যালস্টর্ম এয়ার ফোর্স বেস, যেখানে পরমাণু মিসাইল পরীক্ষা নিরীক্ষা ও উৎক্ষেপণ করা হয়। পরমাণু পরীক্ষণ কেন্দ্রের আশেপাশে বেলুনটিকে উড়তে দেখেই সন্দেহ করা হয় যে গোপনে আমেরিকা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে চিন। সেই কারণেই এই রহস্যজনক বেলুন পাঠানো হয়েছে। তবে বেলুনের ভিতরে বিস্ফোরক থাকতে পারে এবং সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই বেলুনটিকে গুলি করে নামানো হচ্ছে না।
আমেরিকার তরফে ওই রহস্য়জনক বেলুন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ও কড়া নজর রাখার কথা ঘোষণা করতেই শুক্রবার তড়িঘড়ি চিনের তরফেও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়, বেলুন পাঠিয়ে আমেরিকার উপরে নজরদারি করা হচ্ছে না। ভুলবশত এয়ারশিপটি আমেরিকায় চলে যাওয়ায় তারা দুঃখিত। অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে সামলানোর জন্য় আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা জারি রাখা হবে বলেও জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এয়ারশিপটি চিনের। এটি কোনও নজরদারির জন্য পাঠানো হয়নি, বরং আবহাওয়া ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য় ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমী হাওয়ার দাপটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায়, এয়ারশিপটি নিজের নির্দিষ্ট পথ থেকে সরে গিয়েছে। ভুলবশত আমেরিকায় এয়ারশিপটি চলে যাওয়ায় চিন দুঃখিত।