বেজিং: বেশ কয়েকমাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল রাশিয়া। আমেরিকার তরফে বারবারই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে কোনও সময়ে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে পুতিন বাহিনী। রাশিয়া জানিয়েছিল, তার সীমান্তে শুধুমাত্র সেনা মহড়া করছে, আক্রমণ করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। এই সময়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মত প্রথম বিশ্বের দেশগুলি রুশ আগ্রাসনের (Russia-Ukraine Conflict) নিন্দা করলেও বিভিন্ন সময়ে রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছিল চিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার আশঙ্কা সত্যি করে ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। সেই সময় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরোধিতা করলেও রাশিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বেজিং। এমনকি ভারতের মত সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল চিন (China)।
রাশিয়ান হানান ইউক্রেনের বিধ্বস্ত অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মানবতার সঙ্কট মোকাবিলায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর দাবি জানিয়েছে বেজিং। চিনের দাবি, ইউক্রেনে সাহায্য বাবদ মোট ৭ লক্ষ ৯১ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার বেজিংয়ের প্রথম দফার সাহায্য ইউক্রেন সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে, এবং যত দ্রুত সম্ভব সেদেশে আরও সাহায্য পাঠান হবে।
অনৈতিকভাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে অনেক দেশই রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনে সাহায্য পাঠালেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে বেজিং। চিনা মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “প্রতি ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে কখনই শান্তি ফিরবে না বরং, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির অর্থনীতি ও জীবিকাতে এই নিষেধাজ্ঞার মারাত্মক প্রভাব পড়বে।” ঝাও জানিয়েছেন, চিন ও রাশিয়ার মধ্য যে বাণিজ্য চলছে, তা স্বাভাবিকভাবেই চলবে। সাধারণত রাশিয়া ও চিনের মধ্য তেল ও গ্যাসের বাণিজ্য চলে। চিন জানিয়েছে যুদ্ধের কোনও প্রভাব বাণিজ্যে পড়বে না।
আরও পড়ুন Bangladesh News: রাশিয়ার ‘নিন্দা’ না করায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বাংলাদেশে? চাপে হাসিনা সরকার