AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

China-US: পেন্টাগনের ‘পেটের খবর’ নিতে চিনের নয়া চাল! ফাঁপড়ে আমেরিকা

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তিন দশক ধরে ১৬০ জন চিনা গবেষক আমেরিকা থেকে চিনে ফিরে গিয়েছেন।

China-US: পেন্টাগনের 'পেটের খবর' নিতে চিনের নয়া চাল! ফাঁপড়ে আমেরিকা
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2022 | 6:54 PM
Share

ওয়াশিংটন: আমেরিকার অস্ত্র তৈরির গবেষণাগারে বিভিন্ন সময় চিনের অনেক বিজ্ঞানী কাজ করেছেন। সেই সব বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ করেছে চিন। আমেরিকার বিভিন্ন উন্নতমানের অস্ত্র ব্যাপারে তথ্য হাতাতেই চিন এই কৌশল নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে। স্ট্রিডার টেকনোলজির প্রকাশিত রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে আমেরিকার নিউ মেস্কিকো প্রদেশে অবস্থিত লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিরে কাজ করা বেশ কয়েক জন বিজ্ঞানীকে চিন নিয়োগ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। হাইপারসনিক, ডিপ আর্থ পেনিট্রেটিং ওয়্যারহেডস, আনম্যানড অটোনমাস ভেহিকেল, জেট ইঞ্জিনের মতো  সেনার ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তির জন্যই এই নিয়োগ বলে মনে করা হচ্ছে।

স্ট্রিডার টেকনোলজি আমেরিকার সল্টলেক সিটিতে অবস্থিত সিকিউরিটি এবং ইনটেলিজেন্স সংস্থা। ওই সংস্থার রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, তিন দশক ধরে ১৬০ জন চিনা গবেষক আমেরিকা থেকে চিনে ফিরে গিয়েছেন। নিউক্লিয়ার এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রকল্পে সাহায্য করেতই তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “১৯৮৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্য়ে লস আলামসে কাজ করা অন্তত ১৬২ জন বিজ্ঞানী চিনে ফিরে গিয়েছেন সে দেশের বিভিন্ন গবেষণায় সাহায্যের জন্য। এর মধ্যে ১৫ জন বিজ্ঞানী লস আলামসের স্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন।”

ওই ১৫ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে ১৩ জনকে চিনের সরকার ট্যালেন্ট প্রোগ্রামে নিয়োগ করেছে। তাঁর মধ্যে কিছু জন সেই সব গবেষকদের টাকা দিতেন যাঁরা আমেরিকার টাকায় অন্য কোনও সংস্থায় গবেষণায় যুক্ত। আমেরিকার সরকারের টাকায় সংবেদনশীল গবেষণার ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহের কাজ করতেন তাঁরা। অধ্যাপক, গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করতে পাঠানোর জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছিল চিন। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৮০ সালে। সে সময় থেকেই চিনের ট্যালেন্টেড কমবয়সিরা কাজ করতে গিয়েছিলেন বিদেশের বিভিন্ন গবেষণাগারে। তাঁদের সেই অভিজ্ঞতাকেই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে চিন। কৌশলে অন্য দেশকে ধোঁকাও দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।