বেজিং: কোভিড অতিমারি শুরুর পর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সঙ্গে দরজা বন্ধ করেছিল চিন। প্রায় তিন বছরে প্রথম বার এরমক পদক্ষেপ করল বেজিং। বিদেশ থেকে চিনে যাওয়া ব্যক্তিদের গেলে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে না। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ থাকলে তবেই চিনগামী বিমানে আসতে পারবেন পর্যটক থেকে বিদেশে বসবাসকারী চিনের নাগরিকরা। কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে জিরো কোভিড পলিসি কঠোর ভাবে আরোপ করেছিল চিন। কিন্তু সেই পলিসি শিথিল করতেই সংক্রমণ বাড়তে থাকে চিনে। সামনেই চিনের স্পিং ফেস্টিভ্যাল। চিনা নববর্ষের সূচনা উৎসবও। প্রায় তিন বছর পর সেই উৎসব হবে চিনে। তার আগে পর্যটকদের জন্য বন্ধ দরজা খুলল চিন।
চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার সকালেই চিনের গুয়াংদং প্রদেশের গুয়াংঝাউ ও শেনঝেন বিমানবন্দরে দুটি বিমান এসেছে। চিনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুটি বিমানে ৩৮৭ জন যাত্রী এসেছেন। টরোন্টো এবং সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে ওই দুই বিমান। বিমানের পাশাপাশি সমুদ্র পথেও চিনে ঢোকার সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
স্পিং ফেস্টিভ্যালের শুরুতেই চিনা বিভিন্ন দেশ থেকে বিমান আশার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। ২২ জানুয়ারি থেকে সেখানে ছুটি শুরু হবে। সরকারি ছুটি থাকে এক সপ্তাহ। কিন্তু প্রায় ৪০ দিন ধরে উৎসব চলতে থাকে। তাই চিন প্রশাসন মনে করছে প্রায় ৪০ দিন ধরেই বাইরের দেশ থেকে চিনে আসবে। ৭ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসা যাওয়া লেগে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়কালে প্রায় ২ বিলিয়ন লোকের যাতায়াত হবে বলে মনে করছে চিন।
আগল খুলে দিলেও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভ্রান্তি রয়েইছে। দিন কয়েক আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিযোগ করেছিল কোভিড সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিচ্ছন্ন তথ্য দিচ্ছে না চিন। ২০২০ সালে এই স্পিং ফেস্টিভ্যালের পরই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড। চিনে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকে সে দেশে থেকে আসা পর্যটকদের জন্য কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভারতও এই নিয়ম লাগু করেছে। চিনের এই সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্বের কোভিড সংক্রমণে কোনও প্রভাব ফেলে কি না তা উত্তর মিলবে আগামী দিনগুলিতে।