সিঙ্গাপুর: কোভিড অতিমারিতে তখন গোটা বিশ্ব ত্রস্ত। নাক-মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখা তখন বাধ্যতামূলক ছিল বিশ্বের অধিকাংশ দেশে। সে সময়ই এক ভারতীয় মহিলা কাজ করতেন সিঙ্গাপুরে। সেখানকার একটি স্টেডিয়ামে থাকা রেস্তোরাঁতে কাজ করতেন তিনি। ২০২১ সালের মে মাসের এক সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামের রাস্তা দিয়ে হন হন করে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই ভারতীয় মহিলা। মাস্ক পরে থাকলেও মুখ ও নাক থেকে তা নামানো ছিল। সে সময়ই পিছন থেকে এক যুগল চিৎকার করে ডাকে তাঁকে। চিনা বংশোদ্ভূত ওই যুগল ভারতীয় মহিলাকে মাস্ক ভাল করে পরার জন্য চিৎকার করে বলে। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ভারতীয়কে গালাগালি দেওয়ার পাশাপাশি লাথিও মারে ওই ব্যক্তি। এই নিয়েই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পুলিশের কাছে। ভারতীয় মহিলাকে লাথি মারার ঘটনায় চিনা বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
বিষ্ণুবাই নামের ওই ভারতীয় মহিলা চোয়া ছু কাং স্টেডিয়ামের রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। কোভিড অতিমারির সময় তাইল্যান্ডে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেও দ্রুত হাঁটার মতো শারীরিক কসরতের সময় তা নাক-মুখ থেকে নামিয়ে রাখার অনুমতি ছিল। দ্রুত হেঁটে যাওয়ার জন্য বিষ্ণুবাই মাস্ক নাকের নীচে নামিয়েছিলেন। তা নিয়েই আপত্তি জানায় অং জিং ফং নামে ৩২ বছরের ওই চিনা ব্যক্তি।
বিষয়টি নিয়ে তাইল্যান্ডের আদালতে শুনানি চলে। এ নিয়ে এক আইনজীবী বলেছেন, “অভিযুক্ত অভিযোগকারিণীকে মৌখিক ভাবে হেনস্থা করেছিল। এর পাশাপাশি বুকে লাথি মারে। অভিযুক্তের স্ত্রীও তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন।” এই ঘটনার এক নিরপেক্ষ প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। তাঁর সাক্ষ্যের জেরেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত চিনা ব্যক্তি। বিষ্ণুবাইকে গালাগালি দেওয়ার কথা আদালতে স্বীকারও করেছে অভিযুক্ত। যদিও সে জাতিবিদ্বেষ মূলক কোনও মন্তব্য করেনি বলে দাবি করলেও তা ধোপে টেকেনি আদালতে।