Chinese Jack the Ripper: শুধু গলা নয়, মহিলাদের স্তনও কেটে নিত এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 31, 2022 | 8:23 AM

Chinese Jack the Ripper: অসহায় মহিলারা ছিলেন তার শিকার। প্রথমে গলা কাটত, তারপর তাঁদের যৌনাঙ্গগুলি ছুরির আঘাতে বিকৃত করে দিত। এই কাহিনী ভয়ঙ্কর চিনা সিরিয়াল কিলার গাও চেংইয়ং-এর।

Chinese Jack the Ripper: শুধু গলা নয়, মহিলাদের স্তনও কেটে নিত এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার
চিনা জ্যাক দ্য রিপার, ধরা পড়েছিল ২০১৬ সালে

Follow Us

বেজিং: বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচিত জ্যাক দ্য রিপার। ১৯ শতকে লন্ডনের রাস্তায় একের পর এক অসহায় মহিলাদের হত্যা করেছিল সে। প্রথমে গলা কাটত, তারপর তাদের দেহ বিকৃত করে দিত। এই একই নকশা অনুসরণ করেছিল, ‘চিনা জ্যাক দ্য রিপার’ হিসেবে পরিচিত গাও চেংইয়ং। উত্তর-পূর্ব চিন এবং মঙ্গোলিয়ায় ১৪ বছরে অন্তত ১১ জন মহিলাকে সে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। প্রথমে সে গলা কাটত, তারপর তাদের যৌনাঙ্গগুলি ছুরির আঘাতে বিকৃত করে দিত।

অথচ, গাও চেংইয়ং-কে যারা ছোট থেকে জানতেন, তারা জানিয়েছেন গাও যে এরকম ভয়ঙ্কর হত্যালীলা চালাতে পারে, তা বিশ্বাসই করা যায় না। চিনের উত্তর-পূর্বের প্রদেশ কিংচেং-এ জন্ম হয়েছিল তার। পাড়া-প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, গাও একজন কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তি বলেই জানতেন তাঁরা। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত বাবার যত্ন নিত। তবে, বিশেষ কথা টথা বলত না, নিজের মতো থাকত। পরবর্তীকালে বিয়েও করেছিল সে। দুটি ছেলেও ছিল। বড় ছেলের জন্ম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে, আশ্চর্যজনকভাবে ওই বছরই প্রথম হত্যাটি করেছিল গাও।

গাও ধরা পড়লেও, এখনও কেউ জানে না ঠিক কোন ঘটনা থেকে এই ভয়ঙ্কর হত্যালীলা শুরু করেছিল সে। কেন মহিলাদের এত যন্ত্রনা দিয়ে হত্যা করত সে। গাও-এর প্রথম শিকার ছিলেন এক ২৩ বছর বয়সী তরুণী। তাঁকে তাঁর নিজের বাড়িতেই বন্দি করেছিল গাও। বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল গাও। লাগাতার ধর্ষণ করেছিল। পরে তাঁকে হত্যা করেছিল। ওই তরুণীর দেহ যখন পুলিশ খুঁজে পেয়েছিল, তাঁর শরীরে ২৬টি ক্ষত ছিল। এটাই ছিবল শুরু। তারপর থেকে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডেই একই নকশা অনুসরণ করেছিল গাও।

আদালতে গাও চেংইয়ং

একা থাকতেন যে সব মহিলা, তাঁদের অনুসরণ করত সে। তারপর, তাদের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালাত, ধর্ষণ করত। তারপর তাঁদের গলা কাটত এবং ছুরি দিয়ে তাঁদের যৌন অঙ্গগুলিকে বিকৃত করে দিত। গাও নরমাংস ভক্ষণ করত, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, তার শিকারদের স্তন, হাত, কান এবং শরীরের অন্যান্য অংশ কেটে দিত সে। পুলিশ মনে করে, মহিলাদের প্রতি তার মনে কোথাও গভীর ঘৃণা ছিল। তার শিকারদের অনেককেই লাল পোশাক পরা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশের ধারণা, গাও লাল পোশাক পরা মহিলাদের প্রতি গভীর যৌন আকর্ষণ বোধ করত। তার শিকাদের অধিকাংশই ছিলেন অল্পবয়সী। এমনকি, এক আট বছর বয়সী নাবালিকারও একই পরিণতি ঘটিয়েছিল সে।

জ্যাক দ্য রিপারের সঙ্গে গাওয়ের আরও মিল রয়েছে। ১৮৮৯ সালে আচমকাই হত্যালীলা বন্ধ করে দিয়েছিল জ্যাক। তেমনই ২০০২ সালে হত্যা করা বন্ধ করে দিয়েছিল গাও, এমনটাই দাবি করেছে চিনা পুলিশ। কেন সে হত্যা করা শুরু করেছিল, এটা যেমন কেউ জানে না। তেমনই কেন সে হঠাৎ হত্যালীলা বন্ধ করেছিল, সেটাও অজানা।

দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তার কোনও খোঁজ পায়নি। বাইয়িন প্রদেশে বেশ কয়েকটি হত্যাকে একসূত্রে গেঁথেছিল পুলিশ। তারা বুঝেছিল, এটা কোনও একজন সিরিয়াল কিলারের কাজ। তার ডিএনএ-ও সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। কিন্তু, বাইয়িন প্রদেশে নিবন্ধিত কারও সঙ্গে সেই ডিএনএ মেলেনি। আসলে গাও বাইয়িন প্রদেশে নিবন্ধিত ছিল না। সে থাকত কাছের গানসু প্রদেশে, সেখানেই তার ডিএনএ নিবন্ধিত ছিল।

বাইয়িনে তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় অন্য একটি মামলায় পুলিশের হাতে বন্দি হওয়ার পরই গাও ধরা পড়েছিল। গাওয়ের সেই আত্মীয়র ডিএনএ বাইয়িনের সিরিয়াল কিলারের ডিএনএ-র সঙ্গে আংশিকভাবে মিলে গিয়েছিল। এরপরই পুলিশ তার অন্যান্য আত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করে। গাওয়ের ডিএনএ সম্পূর্ণভাবে মিলে গিয়েছিল। অবশেষে, ২০১৬ সালের অগস্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Next Article