ইসলামাবাদ : বিগত কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিলস্তান। এবার আর শুধু আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এবার সেদেশের আম জনতাই গর্জে উঠল। পাক নাগরিকদের জনরোষের মুখে বর্তমানের পাকিস্তান সরকার। খাইবার পাখতুনখওয়াতে সোয়াত উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পথে নামেন প্রতিবাদীরা। এই প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে সোয়াত ওলাসি পাসুন ও সোয়াত কওমি জিরগা নামে দুই সংগঠন। শাহবাজ শরিফের সরকারের কাছে এই আন্দোলনকারীদের দাবি, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ করুন। তাঁরা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, অন্যথায় জঙ্গি দমনে তাঁরাই বন্দুক হাতে রাস্তায় নেমে পড়বেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
এই ঘটনায় রীতিমতো নাক কাটা গিয়েছে পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তানি সেনার। উল্লেখ্য,আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে বৈধতা পেতে উদগ্রীব পাক সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই বৈধতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ধাক্কা। এদিকে সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে সেটিকে ‘আজ়াদ কাশ্মীর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই আখ্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত । এর আগেও জঙ্গি দমনের নাম করে পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিল আমেরিকা। এই আবহে পাক নাগরিকরাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠায় বিপাকে পড়ল ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সোয়াতে বেড়েছে সন্ত্রাসবাদী কার্যতকলাপ। আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা কায়েম করার পর থেকেই সোয়াতে জঙ্গিরা বসবাস শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে সাম্প্রতিককালে বহুবাপ প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে পাক নাগরিকদের। সম্প্রতি সেপ্টেম্বর মাসেই সেদেশে ৪২ টি জঙ্গি হামলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা সম্প্রতি নিজেদের নাগরিকদের পাকিস্তানে যেতে বারণ করেছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানে সফর করার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখবেন।’ নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সেনা ছাউনি, বিমানবন্দর, বিশ্ববিদ্যালয়, পর্যটনকেন্দ্র, সরকারি অফিস, স্কুল সহ একাধিকা জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে।